1. admin@banglarchetona.com : admin :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
র‍্যাব-৬ কর্তৃক যশোর হতে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি আসাদুল আটক কুয়েটে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত খুবিতে ৫ কর্মচারী কর্মকর্তা- কর্মচারী প্রনোদনা পুরস্কার পেলেন খুলনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক। খুলনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক। ডুমুরিয়ায় পোকা দমনে আলোক ফাঁদ খুলনায়  অবৈধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান দিঘলিয়ায় অফিস ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতাবৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত। ফুলবাড়ীতে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৮ জন চোরচক্র সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ দিঘলিয়ায় ভাতিজি ধ”র্ষ”ন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষক আজম মোড়ল আটক।

ডুমুরিয়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা। 

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ৮০ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।

বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার হুক্কা খাওয়া প্রথা। খুলনার ডুমুরিয়া এক সময়ে গ্রামে গ্রামে বয়স্ক বুড়ো- বুড়িদের হুক্কা খেতে দেখা যেত বিশেষ করে কৃষকদের দেখা যেত জমি চাষের সময়, চারা রোপনের সময় একটু বিশ্রম নেওয়ার সময় গাছ তলায় বসে মনের আনন্দে গান গাইতো এবং হুক্কা টানতো। বর্ষাকালে যখন মানুষ ঘরের বাহিরে যেতে না পারতো তখন ঘরের বারান্দায় বসে এমন কি শীতকালে যখন খুব শীত পড়তো তখন লেপ- খাতা গায়ে দিয়ে হুক্কা টানতে দেখা যেত। এমনকি গ্রামের মোড়ল, মাতুববর, জমিদাররা যখন বিচারে বসতে তখন বিচার কার্যপরিচালনার সময় হুক্কার পাইপ টানতো আর সকলের কথা বার্তা শুনে তাদের রায় ঘোষণা করতো। তখন তামাক হুক্কায় ভরে টানাটাই ছিলো তখনকার সমাজে সমাজপতিসহ প্রজাদের মধ্যে বিশাল প্রচালন। গ্রাম বাংলার সেই পুরনো প্রথা আজ আর দেখা যায় না হুক্কা খেতে। গ্রামে গ্রামে বুড়োদের হুক্কা খাওয়া নেশা করার একমাত্র প্রথা এখন বিলুপ্তির পথে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি হুক্কা খাওয়ার সরঞ্জাম যেন বাড়ির একটি শোভা ছিল। যার বাড়িতে যত বেশি ঐসব সরঞ্জাম থাকতো, এলাকা জুড়ে তার পরিচিতি থাকতো তত বেশি। এতে করে শোভা পেত তার বাড়ির বৈঠকখানা। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই বৈঠক খানাও আর নেই, নেই হুক্কার সরঞ্জাম। সবকিছুই এখন বিলুপ্তি হতে চলেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং ঝামেলামুক্ত থাকতেই লোকজন এখন অন্য নেশায় মত্ত। তামাকের মূল্যবৃদ্ধি, আধুনিকতার ছোঁয়ায় গৃহস্থরা আর চায় না অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে। সময় ও অর্থ বাঁচাতে কৃষকদের মাঝেও গ্রামের বুড়োদের আর দেখা যায় না হুক্কা খেতে। তবে হুক্কা খাওয়া প্রথা বিলুপ্ত হতে চললেও এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন ডুমুরিয়ার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের মঠ মন্দির প্রহিত‌ অনেক বয়স্ক বুড়োরা। মাঝে মধ্যে এখনও এখানে অনেককে হুক্কা খাওয়ার মতো এমন চিত্র দেখা যায়। হুক্কা টানতে বসে মতিয়ার রহমান গাজী বলেন, ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে হুক্কা টেনে গা গরম করছেন। এছাড়া আগের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য তিনি এখনো মাঝে মাঝে হুক্কা খেয়ে থাকেন বলে জানান।।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park