আবিদ আজাদ দিঘলিয়া প্রতিনিধি।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের চন্দনীমহল নিবাসী সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী সিরাজুল ইসলামের চতুর্থ পুত্র গাজী রেজাউল ইসলাম বাবু স্থানীয় মাইনুল হত্যা মামলার আসামী হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে আত্নসমর্পণের কারণে দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর কারামুক্তী উপলক্ষে আনন্দঘন পরিবেশে শুভাকাঙ্খিদের পক্ষ থেকে খুলনা কারা গেট থেকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং কারাগেট থেকে দিঘলিয়া উপজেলার চন্দনীমহল নিজস্ব বাড়ি পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ও জুলুমের বিরুদ্ধে এবং মজলুমের স্বপক্ষের পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা গাজী রেজাউল ইসলাম (বাবু) এ এলাকার প্রতিবাদী নাম। বড় ভাই গাজী ফিরোজ আলমকে গুম করে দিঘলিয়ার একটা সন্ত্রাসীর ধারক ও বাহক চক্র। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় জিডিও করা হয়েছে। সন্তানহারা মা তার সন্তানের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকতে থাকতে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। বাবাও সন্তানের শোকে অচল। সিরাজুল ইসলামের দ্বিতীয় পুত্র গাজী এনামুল হাচান মাসুম। তিনি স্থানীয় স্টার জুট মিলস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সভাপতি। তৃতীয় পুত্র গাজী মনিরুল ইসলাম দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক। এ গাজী রেজাউল ইসলাম বাবু ২০২৩ সালে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার মাইনুল হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। এখানেও ছিল আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তি। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল গাজী রেজাউল ইসলাম বাবু জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। দীর্ঘ দুই বছর পরে গত মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেলে দিঘলিয়াবাসীর পক্ষ থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল বহর বাবু গাজীকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে আনন্দ শোভাযাত্রা সহকারে এলাকায় ফেরে। বাবুর মেজো ভাই গাজী এনামুল হাসান মাসুম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের পরিবার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবার। আমরা বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমার বড় ভাই গাজী ফিরোজকে হারিয়েছি। আমার বড় ভাইকে গুম করা হয় এলাকার একটা স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা। আমার ভাই গুম হওয়ার পর হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। আমার ভাই জীবিত না মৃত কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি আজও। আমার মা পৃথিবী ছেড়েছেন সন্তানহারা আকুতি নিয়ে এবং সন্তানের জন্য পিতা পথ চেয়ে বসে আছেন। আমি রাজনৈতিক কারণে বারবার কারা বরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অপরাধ একটাই আমার পিতা রাজনীতি করে মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, মানুষের সেবা দিয়েছেন। সেই রক্ত আমাদের শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা মানুষের সেবা দিতে চাই। আমার পিতা গাজী সিরাজুল ইসলাম অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি আমাদেরকেও বলেছেন জীবন যাবে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আমাদের প্রতি রয়েছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ দেখেন আজকের এই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আমার ভাই গাজী রেজাউল ইসলামকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এই ভালোবাসার কাঙ্গাল আমরা। আমাদের এর চেয়ে বেশি কিছু চাইনা।।