শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা
শুক্রবার ২৮ফেরুয়ারী সকাল সাড়ে ১১ টায় ডুমুরিয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি নিজস্ব কার্যালয় ইট ভাটা মালিকদের সমন্বয়ে একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান জমাদ্দার। উপস্থিত ইটভাটার মালিকরা তাদের ভাটার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে এবং সরকার ভাটা নিয়ে যে হয়রানি করছে সেই সব বিষয়গুলো মালিকরা বক্তব্যে মধ্যে তুলে ধরেন। সমিতির উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ জমাদ্দার বলেন আমাদের ভিতরে একটি ইউনিটি তৈরি করতে হবে, সকলের একত্রিত ভাবে থাকলে আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
এসবি ব্রিকসের মালিক আলহাজ্ব ফজলুর রহমান সরদার বলেন যে আমাদের ঢাকার ইটভাটা মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে দিকনির্দেশনা দিবে আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব, ইতিমধ্যে ঢাকা মালিক সমিতি নেতারা রোজার পরে দেশ অচল করে দেওয়ার আন্দোলন ডাক দিয়েছেন।প্রবীণ ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবু প্রফুল্ল কুমার রায় বলেন ৩৫-৪০ বছর ধরে আমরা ভাটার ব্যবসা করে আসছি, কোনদিন কোন সমস্যা হচ্ছে না আজ কেন এত সমস্যা, আমাদের ভাটার ব্যবসার সাথে হাজার হাজার শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়।
তাই ভাটা ব্যবসা কোন সরকার কোন মতেই বন্ধ বা কোন ধরনের হয়রানি করতে পারবে না। আর যদি ভাটায় ভাঙ্গার হুমকি দেয় তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। স্টোন ব্রিকস এর মালিক আলহাজ্ব ইকবাল জমাদ্দার বলেন ইটভাটার মাধ্যমে আমরা দেশের রাস্তাঘাট অবকাঠামো,বাড়ি ঘরদোর এসব ধরনের কাজে আমরা দেশের উপকারে আসছি, আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন রিপা ব্রিকস এর মালিক আলহাজ্ব আমিনুর রহমান, সেতু ব্রিকস এর মালিক গাজী আব্দুস সালাম। ভাই ভাই ব্রিকসের মালিক ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার সরদার।আল্লাহর দান ব্রিক্স এর মালিক মোঃ আজিজুর মোড়ল, বাহার ব্রিক্স এর মালিক মোঃ আব্দুল হাই বাহার, এমএসবি ব্রিক্স এর মালিক মোঃ রুহুল আমিন মাস্টার ব্রিক্স এর মালিক হান্নান সরদার, সাইমন ব্রিক্স এর মালিক মোঃ আবু বক্কার গাজী, হাসান ব্রিকসের মালিক মোঃ কামরুল ইসলাম, জেসি রিক্সার মালিক মোঃ আল-আমিন, এম আর ডি ব্রিকস এর মালিক মাওলানা তৌফিক রহমান, সেতু টু ব্রিক্স এর মালিক গাজী আশরাফুল ইসলাম, মেরি ব্রিকস এর মালিক মোঃ মশিউর রহমান। সকল মালিকরা আলোচনায়একটি কথা বলেন, ইটভাটা আমরা ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে ব্যাবসা করে আসছি এখন যদি আমাদের ভাটার ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া, হয় তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। কারণ এই ভাটার সাথে শুধু মালিকরা না লাখ লাখ শ্রমিক এই ভাটার সাথে জড়িত।
আলোচনা শেষে জুম্মার নামাজের পর মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন।