1. admin@banglarchetona.com : admin :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
র‍্যাব-৬ কর্তৃক যশোর হতে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি আসাদুল আটক কুয়েটে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত খুবিতে ৫ কর্মচারী কর্মকর্তা- কর্মচারী প্রনোদনা পুরস্কার পেলেন খুলনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক। খুলনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক। ডুমুরিয়ায় পোকা দমনে আলোক ফাঁদ খুলনায়  অবৈধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান দিঘলিয়ায় অফিস ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতাবৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত। ফুলবাড়ীতে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৮ জন চোরচক্র সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ দিঘলিয়ায় ভাতিজি ধ”র্ষ”ন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষক আজম মোড়ল আটক।

মানবিকতা, সাহসিকতা আর দায়িত্ববোধে অনন্য দৃষ্টান্ত – ওসি এইচ. এম. শাহীন

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬০ বার পঠিত

এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।

পুলিশ মানেই কি ভীতি? পুলিশের অফিসে ঢুকতে হলে কি ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে? মানুষের অভিযোগ শুনতে কি দরকার সুরক্ষা, পরিচয়, কিংবা রাজনৈতিক পরিচিতি?—এই সমস্ত প্রচলিত ধারণাকে সম্পূর্ণ ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন খুলনার দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ. এম. শাহীন।

বর্তমান সময়ে দেশের বহু থানায় সাধারণ মানুষ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, কখনো আবার ফিরে যেতে হয় কোনো সহানুভূতিশীল উত্তর না পেয়েই। তবে দিঘলিয়া থানায় ছবিটা একেবারে আলাদা। কারণ, এখানে রয়েছেন একজন মানবিক, সাহসী এবং সেবাপরায়ণ ওসি—এইচ. এম. শাহীন।

মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

ওসি শাহীন দিঘলিয়ার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন একজন অভিভাবকের মতো। কোনো বৃদ্ধ নাগরিক কিংবা বিপদে পড়া নারী থানায় গেলে, ওসি সাহেব নিজেই এগিয়ে আসেন। তিনি প্রথমেই শোনেন সমস্যার কথা, এরপর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কোনো গরিব কৃষকের জমি নিয়ে বিরোধ হোক কিংবা কোন ছাত্র/ছএী হুমকির সম্মুখীন হোক—সবার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা।স্থানীয়রা বলছেন, “ওসি সাহেবের কাছে গেলে মনে হয় পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলছি। তিনি পুলিশ অফিসার, কিন্তু মনে হয় যেন একজন বড় ভাই।”

সাহসিকতায় অপরাধ দমনে দক্ষ

শুধু মানবিকতা নয়, সাহসিকতায়ও তিনি অনন্য। রাত-বিরাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদকবিরোধী অভিযান, বা কোনো বড় ঘটনার পর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ—সব ক্ষেত্রেই তার নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন, মাঠে নামেন এবং দিকনির্দেশনা দেন। অনেক সময়ই দেখা গেছে, সাধারণ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন তিনি।থানার পরিবেশে পরিবর্তনের ছোঁয়া

দিঘলিয়া থানায় এখন কেউ গেলে একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়। থানার ভেতরে পরিচ্ছন্নতা, কাগজপত্রের নিয়মিত সংরক্ষণ, অভিযোগ জানাতে নাগরিকদের সহায়তা—সব কিছুতেই আছে শৃঙ্খলা আর পেশাদারিত্বের ছাপ। সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

জনমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া পুলিশ

ওসি শাহীন একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঠিকই, তবে তার কাজের ধরন এবং মানসিকতা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে একজন বন্ধু, অভিভাবক এবং সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, “এমন ওসি বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় থাকলে মানুষের পুলিশ নিয়ে ভয় দূর হয়ে যেতো।

উপসংহার:
ওসি এইচ. এম. শাহীন প্রমাণ করেছেন যে, পুলিশের কাজ শুধু আইন প্রয়োগ নয়, মানবিক আচরণ এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোও দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার মানবিকতা ও সাহসিকতা এখন দিঘলিয়াবাসীর অহংকার।

এমন কর্মকর্তা দেশের প্রতিটি থানায় থাকা উচিত—যিনি শুধু আইনের চোখে না দেখে, মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলেন।।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park