1. admin@banglarchetona.com : admin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফুলবাড়ীতে উপকারভোগীদের মাঝে (ভি ডব্লিউ বি) এর চাল বিতরণ। ফুলবাড়িতে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ ড্রাগিস্টস সমিতির৪ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত । দিঘলিয়ায় ধর্ষন মামলার আসামী আটক। দিঘলিয়ায় কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( টিটিসি) দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার। কাবিং করব, শান্তির বার্তা আনব” ডুমুরিয়া উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ৫ লাখ জাল টাকাসহ খুলনার লবণচরা থানা এলাকা হতে ১জন আটক  ডুমুরিয়ায় তারুণ্যের জ্ঞানযুদ্ধ শুভ উদ্বোধন মৎস্য চাষী হাবিবুরের আর্তনাদ, ভেসে গেল প্রায় ৩৫লক্ষ টাকার মাছসহ ২৫ একর জমির ধান। খুলনার কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসারিতার অভিযোগ নড়াইল জেলা বিএনপি সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে ও কালিয়া উপজেলা ছাত্রদলের অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদে  সংবাদ সম্মেলন

বর্জ্য নিক্ষেপ নয়, আনা হচ্ছে কূলে সাগর বাঁচাতে বড় উদ্যোগ আড়াইশ বাণিজ্যিক ফিশিং ট্রলারের ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন অপচনশীল বর্জ্য সাগরে না ফেলে নিয়ে আসা হচ্ছে তীরে।

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ৪৯ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন।

আড়াইশ বাণিজ্যিক ফিশিং ট্রলারের বর্জ্য বঙ্গোপসাগরে না ফেলে কূলে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর। সাগরের দূষণ রোধে গৃহীত এই উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলমান এই উদ্যোগের ফলে বছরে প্রায় ২৫ মেট্রিক টন অপচনশীল দ্রব্যের দূষণ থেকে সাগর রক্ষা পাবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্যিক জাহাজে খাবারের প্যাকেট বিশেষ করে পলিথিন ও প্লাস্টিক এবং এমন কি মাছ ধরা ছেঁড়া ও টুকরা জাল, যেগুলো প্রতিনিয়ত সমুদ্রে ফেলে দিত নাবিকরা, তাতে দূষিত হচ্ছে সাগর। বর্তমানে এসব অপচ-নশীল দ্রব্য সাগরে ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে কূলে নিয়ে আসছেন নাবিকরা। সাগরে দূষণরোধে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর এটির সার্বিক তদারকি করছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর
আমাদের প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ থেকে সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে পরিকল্পনা গ্রহণ করি যে, কীভাবে সাগরে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ অপচনশীল দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নাবিকরা মাছ আহরণ করতে সারাবছরই সাগরে যায়। একটি ট্রলারে ক্ষেত্র বিশেষে ৩০ থেকে ৫০ জন নাবিক একসাথে সাগরে যায়। সাগরে গেলে তারা একবার ১৫ থেকে ৩০ দিন মৎস্য আহরণ করে। এ সময়ে যত খাবার প্রয়োজন হয়, সবকিছু তারা চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যায়। ক্রয়কৃ ত খাবারের বেশিভাগই পলিথিন মোড়ানো। সাধারণত জাহাজে খাবার শেষে এসব পলিথিন সাগরে ফেলে দেয় নাবিকরা। অথচ নিক্ষেপকৃত পলিথিন, প্লাস্টিক এমন কি ছেঁড়া ও টুকরো জাল যেগুলো অপচনশীল দ্রব্য সেগুলো সমুদ্র দূষণ করে। সাগরে এসব অপচনশীল বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে মাছের আবাসস্থল ধ্বংস, সমুদ্র দূষণ, সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র নষ্ট, ঘোস্ট ফিশিং, মাছের খাদ্য শৃঙ্খল নষ্ট, মাছের প্রজনন ব্যাহৃতসহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। এমন কি প্লাস্টিক ও পলিথিন মাছের শরীরে চলে আসে। এসব মাছ খেলে মানব শরীরে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এ কারণে দূষণ প্রতিরোধে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি পত্র জারি করা হয়। সকল বাণিজ্যিক ফিশিং ট্রলারের মালিকের কাছে এসব চিঠি প্রেরণ করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশনের মাধ্যমেও সকল ট্রলার মালিককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। একইসাথে সমুদ্রগামী সকল ফিশিং ট্রলারে ড্রাস্ট বিন রাখতে ট্রলার মালিকদের অনুরোধ করা হয়। সমুদ্রে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত প্রায় ২৫০টি ফিশিং ট্রলারে বর্তমানে অপচনশীল বর্জ্য বিশেষ করে প্লাস্টিক ও পলিথিন এসব ড্রাস্ট বিনে ফেলা হচ্ছে। পরবর্তীতে এগুলো কূলে এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত আবর্জনা ফেলানোর জায়গায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
মোঃ ফারুক হোসাইন সাগর আরো বলেন, সাগর থেকে ফেরার পথে ২৫০ ফিশিং ট্রলার মাসে এক থেকে দুই মেট্রিক টন অপচশীল বর্জ্য নিয়ে আসছে। তাতে বছরে বর্জ্য আসবে ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন। অথচ ড্রাস্ট বিন ব্যবহার না হলে এসব বর্জ্য সাগরে নিক্ষেপ হতো। তাতে দূষণের শিকার হতো সাগর। তাছাড়া সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী সাগরে প্রায় ৩০ হাজার যান্ত্রিক নৌযান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ কাজে এসব যান্ত্রিক নৌযানকেও আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে সমুদ্র মৎস্য সম্পদের দীর্ঘ মেয়াদী সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।


জানতে চাইলে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, বাণিজ্যিক ট্রলারে সাগরে মৎস্য আহরণ করতে যাওয়ার সময় নাবিকরা পলিথিন ও প্লাস্টিক প্যাকেটে খাদ্য দ্রব্য নিয়ে যায়। খাবার শেষে বেশিভাগ ক্ষেত্রে এসব প্যাকেট সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এসব প্যাকেট অপচনশীল পণ্য। এছাড়াও মাছ ধরা সরঞ্জাম বিশেষ করে ছেঁড়া জাল ব্যবহারের পর ফেলে দিলে দূষিত হয় সাগর। তাতে সাগরের জীববৈচিত্র্য ও মাছের ফুড চেইন নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া মাছের মাধ্যমে

মানুষের শরীরে প্লাস্টিক প্রবেশের কারণে মানবদেহে নানা রোগ-ব্যাধি সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সাগরে বাণিজ্যিক ট্রলারগুলোতে ব্যবহৃত পলিথিন কিংবা প্লাস্টিক প্যাকেট কূলে নিয়ে আসার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিতে হবে। তাতে দূষণমুক্ত হবে সাগর।।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park