মোঃ আশরাফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে আজ ৭ মে (বুধবার )সকাল সাড়ে দশটায় ফুলবাড়ী উপজেলা ভেটেনারি হাসপাতালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় । তবে ইতিপূর্বে অনিয়মের অভিযোগে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জনগণের তোপের মুখে বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত হওয়া বকনা গরু একমাস পর বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে ৭০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সুবিধাভোগীর মধ্যে বকনা (বাছুর গরু) বিতরণ করা হয়।বকনা গরু বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, মেজর শেখ আরমান ইবনে ইদ্রিস, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মো. ইসাহাক আলী, প্রাণিসম্পদ নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান, ভেটেরিনারি সার্জন সজীব হাওলাদার, থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজুল ইসলাম,উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ১ নং এলুয়াড়ী ইউ পি ‘র চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ নবীউল ইসলাম, ফুলবাড়ী পৌর বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব আবুল বাশার, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মানিক মন্ডল,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল হক, পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক রাসেল পারভেজ, যুগ্ন আহবায়ক শাহেদ ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জিয়াবুর রহমান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল বকনা গরু বিতরণের সময় শর্তানুযায়ী গরু সরবরাহ না করায় প্রতিবাদের মুখে গরু বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা চলে। অবশেষে শর্তপূরণ করে হৃষ্টপুষ্ট বকনা গরু সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল।সরে জামিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৭০ জন সুফলভোগীর মধ্যে গরু বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি গরুর ওজন ১০০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও গড়ে প্রতিটি গরুর ওজন ছিল ৬৫-৭০ কেজি পাওয়া যায়।টেন্ডার অনুযায়ী গরুর ওজন ও বয়স ঠিক না থাকায় স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইসাহাক আলী বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে গরুগুলো ফেরত নিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি কামাল পাশা বলেন, আগের গরুগুলো কেনার সময় ব্যবসায়ীরা ওজনে কম দিয়েছিল। তাই সেগুলো ফেরত দিয়ে নতুন করে গরু নেয়া হয়েছে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান বলেন, আগের গরুগুলোর ওজন কম থাকায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিতরণ স্থগিত করা হয়েছিল। এবার বিতরণের আগে গরুগুলোর ওজন নির্ণয় করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ৯০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত গরু বাছাই করা হয়েছে। ৭টি ইউনিয়নের সুফলভোগীর মধ্যে গরুর সঙ্গে সুষম খাদ্য ও ফ্লোর ম্যাট সহ একটি করে ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে চারটি করে টিন এবং খুঁটি দেয়া হবে সুবিধাভোগী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে।।