মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরো প্রধান।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ডের কার্যালয় এখন জনতার ভূমি সেবা ঘর হিসাবে সকলের মুখে মুখে পরিচিতি লাভ করেছে।
খারিজের অপেক্ষামান জায়গা-জমির দলিলের পাহাড়, জটিলতা,সেই ভূমি কার্যালয় এখন স্বর্ণালী সফলতার একটি নাম। এখন আর সঠিক জায়গা-জমির খাজনা, খারিজ, ডিসিআর সহ যে কোন কাজে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় না। একটি স্বচ্ছ ও ডিজিটাল (আংশিক) ভূমি অফিস পেয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলাবাসী।
এসকল কাজের পেছনে যার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি হলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মি. তাসফিকুর রহমান
গত ১৬/০৭/২০২৪ ইং তারিখে যোগদান করার পর থেকেই খুব অল্পদিনের মধ্যে নিজের কর্মদক্ষতা দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি অফিসকে একটি জনতার উন্মুক্ত ভূমি সেবা ঘর হিসাবে চালু করতে সক্ষম হয়েছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গন্জ থেকে আগত মানুষদের ভূমি সেবা দিয়ে তিনি হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত।দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদানের পর থেকে তাঁর রয়েছে অনেক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি দামুড়হুদায় যোগদানের পর থেকে তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে ভূমি দস্যু, অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন অভিযান চালিয়ে আদায় করেছেন জরিমানা, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিচ্ছেন কঠোর আইনি পদক্ষেপ।এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
কেএইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, জায়গা-জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় ক্রেতা বিক্রেতারা জমির দলিল একটু সতর্কতার সাথে খেয়াল করে জমির পরিমাণ, রেকর্ড, খাজনা-খারিজ সঠিক ভাবে দেখেশুনে যদি জমি রেজিস্ট্রি করান, তাহলে কোন সমস্যা হবেনা,
জমি ক্রেতাদের কোন ভোগান্তিতে পরতে হবেনা, সকলকেই একটু সচেতন হতে হবে। অপরদিকে দামুড়হুদা উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারী সল্পতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দ্রুত সেবা দানে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে তিনি সকল বাধা উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।তিনি আরো বলেন, ভূমি সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এই উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে তার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।।