1. admin@banglarchetona.com : admin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ডুমুরিয়ায় মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের ফসল প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস। ফুলবাড়ীতে উপকারভোগীদের মাঝে (ভি ডব্লিউ বি) এর চাল বিতরণ। ফুলবাড়িতে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ ড্রাগিস্টস সমিতির৪ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত । দিঘলিয়ায় ধর্ষন মামলার আসামী আটক। দিঘলিয়ায় কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( টিটিসি) দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার। কাবিং করব, শান্তির বার্তা আনব” ডুমুরিয়া উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ৫ লাখ জাল টাকাসহ খুলনার লবণচরা থানা এলাকা হতে ১জন আটক  ডুমুরিয়ায় তারুণ্যের জ্ঞানযুদ্ধ শুভ উদ্বোধন মৎস্য চাষী হাবিবুরের আর্তনাদ, ভেসে গেল প্রায় ৩৫লক্ষ টাকার মাছসহ ২৫ একর জমির ধান। খুলনার কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসারিতার অভিযোগ

ডুমুরিয়ায় জমজমাট ঈদ বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৮ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।

শেষ মুহূর্তে খুলনায় ডুমুরিয়ায় ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে পুরোদমে। পবিত্র ঈদুল-ফিতরের আর মাত্র ৮ দিন বাকি থাকতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত শহরের বিভিন্ন মার্কেট এলাকা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের সব মার্কেট ক্রেতাদের পদচারণায় ব্যস্ত। এই কেনাকাটার ব্যস্ততা রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিদিন খুলনা শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা পরিবার নিয়ে শপিং মল ও মার্কেটে আসছেন নতুন জামাকাপড়, জুতা, গহনা এবং অন্যান্য পণ্য কিনতে।
এ বছর লেনদেনের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ ভালো। খুলনার বড়বাজার, মশিউর রহমান মার্কেট, খাজা খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, শহিদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, ইশা চেম্বার, আক্তার চেম্বার, মালেক চেম্বার, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, খান টাওয়ার, কেডিএ নিউ মার্কেট, আড়ং, সেফ অ্যান্ড সেভ এবং শিববাড়ি মোড়ের মতো প্রধান শপিং সেন্টারগুলোতে ঈদ বাজারের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে বিত্তবান ক্রেতারা বড় শপিং সেন্টারগুলোতে ভিড় করছেন এবং মধ্যবিত্ত ক্রেতারা বড়বাজার ও নিক্সন মার্কেট থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। অন্যদিকে, ফুটপাতে বসা অস্থায়ী বাজারগুলো নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের জন্য হয়ে উঠেছে আদর্শ।
ডাকবাংলা এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন তরফদার বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালো। ১৫ রমজানের পর থেকেই ক্রেতাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমার দোকানে মূলত শিশুদের পোশাক বিক্রি হয়, তাই ভিড় আরও বেশি।
এছাড়া, এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকায় সামনের দিনগুলোতেও ক্রেতাদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
শহরের শিববাড়ি মোড়ের জুতার দোকানের মালিক রেজাউল আকন্দ বলেন, প্রতিদিন বিক্রি বাড়ছে, এবং আমি আশা করছি এ বছর আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি লাভ করতে পারবো।
বয়রা এলাকা থেকে আসা ক্রেতা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ডাকবাংলা এলাকার দোকানগুলোতে প্রচুর ভিড়, সন্ধ্যার পর হাঁটার জায়গাও থাকে না, ফলে পছন্দের জিনিস খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যায়।
খালিশপুর থেকে আসা আরেক ক্রেতা মাহফুজা নিলু কেডিএ নিউ মার্কেটে এসেছেন কেনাকাটা করতে। তিনি বলেন, বাজারের ভিড় এড়িয়ে চলতে আমি সাধারণত আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা করি, কিন্তু এবার ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই আজ প্রথমবারের মতো কেডিএ নিউ মার্কেটে এসেছি। বাচ্চাদের নিয়ে কেনাকাটা করা খুবই কষ্টের। তাই ভাবছি দু একদিনের মধ্যেই কেনাকাটা শেষ করা যায় কিনা।
খুলনা শপিং কমপ্লেক্স শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্থান ঈদের কেনাকাটার জন্য। সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে বর্তমানে ব্যবসায়ীরা দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খুলনা শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান বলেন, রমজানের শুরু থেকেই আমরা আমাদের দোকান সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও খোলা রেখেছি, কারণ কর্মজীবী ক্রেতারা সাধারণত এই দিনটিতে সময় নিয়ে কেনাকাটা করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, ক্রেতাদের ভিড়ের কারণে এখন দোকানের কর্মচারীদের বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও নেই। আশা করছি, ঈদের বাকি দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।রমজানের শুরু থেকেই মার্কেট কর্তৃপক্ষ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান আবুল হাসান।
এ বছর দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে বাড়ি, লাকি, রূপকথা, আলিকদর, পাকিজা, জমজম, বলমকারি এবং ফেরদৌস তরুণীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব পোশাকের দাম ৫৫০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে।
তাঁতের শাড়ি এবং জামদানি নারী ক্রেতাদের কাছে আগের মতোই জনপ্রিয়। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়িও এবারের ঈদ বাজারে নতুন আকর্ষণ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।এ বছর তরুণীদের মধ্যে পাকিস্তানি থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি। এর মধ্যে ‘সাদা বাহার’ ৩,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকা, ‘বিন সাঈদ’ ৪,৫০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা, ‘শিপন তাওয়াক্কাল’ ৩,৫০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা, এবং ‘বিন হামিদ’ ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।ভারতীয় খাদি জর্জেট শাড়ির দাম ৬,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা, সফট বেনারসি কাতান ৫,৫০০ থেকে ৬,৫০০ টাকা, ভারতীয় জামদানি ৩,২০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা, দক্ষিণ ভারতীয় অর্গানজা শিপন ৪,০০০ থেকে ৬,৫০০ টাকা, রাজস্থানী জয়পুরি সিল্ক ২,৫০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা, সিলেটের মনিপুরি শাড়ি ২,০০০ থেকে ২,২০০ টাকা, গাদওয়াল সিল্ক ১২,০০০ থেকে ১৩,০০০ টাকা, টাঙ্গাইল সফট সিল্ক ৩,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি শাড়ি ২,৫০০ থেকে ৪,৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পুরুষদের মধ্যে ইম্পোর্টেড ব্র্যান্ডের জিন্স ও হাল ফ্যাশনের অন্যতম ব্যাগি ও টমি জিন্সের চাহিদা বেশি, যেগুলোর দাম ৯৫০ থেকে ৩,২০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া, ‘শেখ শাদি’, ‘আফগানি কাবলি পাঞ্জাবি’, ‘স্টার’ এবং ‘টপ টেন’ ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি ৬০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।খুলনার বাজারগুলোতে ঈদের কেনাকাটার ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে, যা ঈদের বাকি দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park