নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা জেলার খালিশপুর থানার গোয়ালখালী জাহাজের মোড়ে আজ (সোমবার) ১৪ এপ্রিল, সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আই,পি টিভি রুপসী বাংলা টেলিভিশনের বিভাগীয় কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।এ অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম নবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, কলামিস্ট ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু। তিনি ফিতা কেটে বিভাগের কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি আবু আসলাম বাবু তার বক্তব্যে বলেন, “সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল পেশা, যা জনগণের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা যখন সত্য প্রকাশ করি, তখন তা শুধু সংবাদ নয়, বরং জনগণের জন্য একটি সেবা হয়ে দাঁড়ায়। একজন সাংবাদিকের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হলো তার পেশাগত সততা এবং নিরপেক্ষতা। আমরা যদি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করি, তবে সমাজে পরিবর্তন আনা সম্ভব।”তিনি আরও বলেন, “রুপসী বাংলা টেলিভিশন আমাদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সঠিকভাবে তুলে ধরবে, জনগণের মনের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে। এটি শুধু একটি টেলিভিশন চ্যানেল নয়, বরং একটি সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার।”বাংলাদেশ মানবাধিকার সংরক্ষণ কমিশনের সোনাডাঙ্গা থানার সভাপতি মোঃ মাসুম হাওলাদার তার বক্তব্যে বলেন, “মানবাধিকার রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের সমাজে এখনো অনেক ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতন চলছেঃ নারীদের প্রতি সহিংসতা, শ্রমিকদের অধিকার, এবং শিশুদের প্রতি অবহেলা। সাংবাদিকরা যদি এই সকল বিষয়গুলো তুলে ধরেন, তাহলে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। রুপসী বাংলা টেলিভিশন সেই ভূমিকা পালন করবে, এটি আমাদের সকলের জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”সাংবাদিক ওয়াহিদ মুরাদ , তার বক্তব্যে বলেন, “সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য সত্যকে প্রকাশ করা এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করা। সাংবাদিকরা সমাজের চোখ, কান এবং মুখ হয়ে থাকেন। পেশাগত দৃষ্টিকোণ থেকে, আমাদের দায়িত্ব শুধু তথ্য প্রদান নয়, বরং সেই তথ্যের মধ্যে নৈতিকতা, সততা এবং সমাজের ভালোর প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।”সাংবাদিক মামুন রেজা বলেন, “সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, তবে এটি একদম সহজ নয়। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে – একদিকে তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করা, অন্যদিকে সেই তথ্যের প্রভাব এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকা। রুপসী বাংলা টেলিভিশন এর মাধ্যমে আমরা সমাজের বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হতে পারব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আফজাল হোসেন, তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের এলাকায় নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ শুরু হবে। এটি স্থানীয় জনগণের জন্য একটি বড় সুবিধা এবং আমরা আশা করি রুপসী বাংলা টেলিভিশন আমাদের এলাকার সমস্যাগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে, সকল বক্তা একমত হন যে রুপসী বাংলা টেলিভিশন কেবল একটি মিডিয়া হাউস নয়, বরং এটি এক নতুন দিগন্তের সূচনা। এটি সমাজের প্রতিটি সমস্যা, আশা, আর দুঃখের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে, এবং একই সাথে দেশ ও জনগণের উন্নতির জন্য কাজ করবে। স্থানীয় জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে রুপসী বাংলা, যা ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।।