আবিদ আজাদ দিঘলিয়া প্রতিনিধি বাংলার চেতনা নিউজ।

দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি গ্রামের বাসীন্দা আঃ কুদ্দুস মোল্লার পরিবারের বিরুদ্ধে বিবাদমান বিরোধী গ্রুপের গোপন চক্রান্তে মিথ্যা অভিযোগে নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধীর শিকার হয়েছেন লাখোহাটি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার পরিবার। আর এ ষড়যন্ত্রের গুটি চালাচ্ছেন এলাকার একটা মহলের আস্থাভাজন মাতব্বর গোলাম শেখগং। যে ষড়যন্ত্রের কারণে একদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সম্প্রতি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার একটা কচক্রিমহল কুদ্দুস মোল্লার পরিবারকে হেনস্তা করতে অপরদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ভুমিকাকে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতর্কিত করার মানসে এ মিথ্যা ষড়যন্ত্র সাজিয়েছে এবং কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রীকে বসত ঘরের দোতলায় জানালা দিয়ে রান্না ঘরের ভেতরে বাহির থেকে ঢুকিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান কুদ্দুস মোল্লা ও তার স্ত্রী কোনো দিন গাজা আমদানি বা বেচা কেনা করে এমন কোনো দিন দেখেনও নি এমন কি শুনিনি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের দাঁড় গোড়ায় আনা হোক এবং কারা কোথা থেকে গাঁজা আনলো এবং ঘরে গাঁজা ঢুকিয়ে মিথ্যা অভিযোগ সাজাতে চেষ্টা করলো তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি কুচক্রী মহল কুদ্দুস মোল্লাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিছুদিন আগে তার ঘরে গাঁজা রেখে যৌথ বাহিনীকে সংবাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাহিনী অভিযান চালিয়ে কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী মিনা বেগমকে আটক করে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কুদ্দুস মোল্লা ও তার স্ত্রী মাদক সংশ্লিষ্ট নন। যাচাই-বাছাই শেষে মিনা বেগমকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর গত ১ জুলাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের মধ্যে সংঘর্ষে সুমন শেখ (১৮) নামের একজন আহত হন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কুদ্দুস মোল্লাকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়। অথচ প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীদের মতে, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেনই না।
কুদ্দুস মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন ধরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রিয়াজ শেখ (২৭) পিতা: গোলাম শেখ নামক এক ব্যক্তি ও তার সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে একবার ঘিরে ধরেছিল। প্রমাণ হিসেবে তিনি একটি ফেসবুক মন্তব্য দেখান, যেখানে রিয়াজ লিখেছেন।
“Koddus Molla, মনে আছে বউ বাজারে আমরা ৮ জন ঘিরেছিলাম, শুধুমাত্র বাপ-চাচার মুখের দিকে তাকিয়ে তোর গায়ে কোপ দেইনি—আজ বুঝছি, তোকে ছেড়ে দেওয়া আমাদের ভুল ছিল।”
তিনি আশঙ্কা করছেন, তার বিরুদ্ধে চলমান এসব ষড়যন্ত্রে রিয়াজ শেখসহ আরও কিছু লোক জড়িত থাকতে পারে। বর্তমানে রিয়াজ শেখ প্রবাসে রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে গোলাম শেখের অপর পুত্র পলাশ কয়েকজন সাংবাদিকের ঘটনাস্থলে উপস্থিত ও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে কুদ্দুস মোল্লা পরিবারের মতবিনিময় ঘটনার প্রতিবাদে মোবাইল ফোনে দম্ভোক্তি করে বলেন, আপনারা আমাদের খারাপ কল রেকর্ডিং, অস্ত্রের মোহড়া, প্রতিপক্ষকে হত্যার হুমকি যা লেখেননা কেন কেউ কিছু করতে পারবে না। আমাদের পিছনে শক্তি আছে। এর আগে এগুলো প্রচার করেছে। প্রশাসনের কাছে সব আছে। তার পরও তাদের মামলা দিয়ে হেনস্তা করিয়েছি। সামনে আরো খেলা হবে।
এদিকে এলাকাবাসী কুদ্দুস মোল্লার প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। তারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সেইসাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, যেন একজন নিরীহ ব্যক্তি বারবার অন্যায়ের শিকার না হন।