খুলনা ব্যুরো প্রধান বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় আব্দুল রব নামের এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে—এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১ লা মার্চ বারাকপুর কেবল ঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত: সওকাত এর বড় পুএ আব্দুর রব তার নিজ ঘর হতে বেরিয়ে গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী একটি দো তলা ভবনে গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে এলাকা বাসি ও পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে পরিবারের দাবি ছিল এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা। কে বা কারা আব্দুর রব কে তার নিজ ঘর হতে গভীর রাতে বের করে নেয়। এবং সকালে আব্দুর রব এর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। এবিষয়ে নিহতের পরিবার দাবি করেন আব্দুর রব এর মৃত্যুর ১ দিন পরে তার স্ত্রী লাখোহাটি তার বাবার বাড়িতে চলে যায় । এবিষয়ে মৃতের পরিবার জানান আব্দুর রবের একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্যের খাতা পত্র কোন হিসাব পাওয়া যায়নি, আব্দুর রব একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।তার ব্যবসার হিসাব কিতাব রাখা খাতা হতে বেশ কিছু পৃষ্ঠা কাটা পাওয়া যায়। রবের মৃত্যুর আগের দিন গভীর রাতে রবের স্ত্রী, শশুর, শাশুড়ী তাকে বাড়ি থেকে ডেকে রাস্তায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রব এর স্ত্রী ও শাশুড়ীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা অন্যভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবং গণমাধ্যমকে কোন প্রকার সঠিক তথ্য দেননি।
নিহত আব্দুল রবের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, এটি কোনো আত্মহত্যা নয় বরং তার স্ত্রী কর্তৃক পূর্বপরিকল্পিত হত্যা। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ ও পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল, যার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এটি হয়তো আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ ধারণা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের মতে, আব্দুর রব নিজে কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার মতো মানুষ ছিলেন না।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য বা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি।
তবে মৃত আব্দুল রব এর পরিবার জানান আব্দুর রব এর ব্যবসার সকল
খাতা পএ তার স্ত্রী শামীমা এর কাছে থাকতো, এমনকি উক্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যায় স্ত্রী শামীমার নামে। রবের মৃত্যুর রাতে তার স্ত্রী শামীমা তার নিজের বসত ঘরেই ছিলেন। এ বিষয়ে মৃতের পরিবার সঠিক তদন্তপূর্বক খুলনা দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন
এলাকার সচেতন মহল মনে করছে, দ্রুত সঠিক তদন্ত না হলে এ মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ও নানা গুজব আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।।