,লেখক ও তথ্য সঃগ্রহ শাকিল শরিফ
মির্জা মহল, খুলনার দৌলতপুরের ঐতিহ্যবাহী বাড়ি যেবাড়ি একসময় ছিল একটি পরিবারের প্রাণকেন্দ্র, এখন তার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজন চলছে।এই অনুষ্ঠানে মির্জাপরিবার এবং মির্জাপরিবারের ইতিহাসকে স্মরণ করা হচ্ছে, তবে এই আনন্দের সঙ্গে রয়েছে এক বেদনা—যে বাড়িতে একসময় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা,হাসি-ঠাট্টায় মুখরিত ছিল, সে বাড়ি আজ একাকী পড়ে রয়েছে, এবং অনেক প্রিয় মুখ আজ আর আমাদের মাঝে নেই।
অত্যন্ত মায়াময়ভাবে স্মরণ করছি প্রয়াত সদস্যদের—আমার নানা,নানি,মামারা ,খালারা ,মা, সহ যারা এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তারা একসময়ে মির্জা মহলে বাস করতেন এবং তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এই বাড়ি। “যে বাড়িতে ছেলেবেলার সময়টায় হাসি কান্নায় আনন্দে কাটিয়েছে।সেই বাড়ির ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান আগামী ২৫,২৬,২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ হতে চলেছে কিন্তু তারা এ অনুষ্ঠানের কথা জানবে না,” এই ভাবনায় আমাকে বা আমাদের কে এক অমোঘ বেদনায় ডুবিয়ে দিয়েছে।
মির্জা মহল এখন তার ঐতিহ্য ফিরিয়ে পেতে পারে, কারণ, এই শতবর্ষী বাড়িটি শতবর্ষ উপলক্ষে আবার একত্রিত করছে পরিবারের সদস্যদেরকে যারা দূর-দূরান্তে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন—এটি তাদের একসাথে মিলিত হওয়ার সুবর্ন সুযোগ হতে চলেছে ।যে বাড়িটি একসময় তাদের আনন্দের কেন্দ্রছিল, সে বাড়ি আজ বহু বছর ধরে একাকী দাঁড়িয়ে আছে, হয়তো তার পুরনো বাসিন্দাদের ফিরে আসার অপেক্ষায়
এবার ঐতিহ্য বাহী বাড়িটা তার সেই পুরনো মানুষগুলোর অনেককে একসাথে পেয়ে কিছুটা উজ্জীবিত হয়ে উঠবে” – এটি আমার প্রত্যাশা, যেখানে বাড়িটি পুরনো দিনের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, এবং বাড়ির সাথে সম্পর্কিত স্মৃতির পুনর্জীবন ঘটছে।
একদিকে যেমন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করছি অন্যদিকে পরিবারের হারানো সদস্যদের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা ও স্মৃতি চিহ্ন ।এটি সময়ের পরিবর্তন, এবং পুরনো দিনের মূল্য নিয়ে এক ভাবনা তুলে ধরেছি যা আমাদের কে কষ্ট এবং সুখের এক মিলিত অনুভূতির মধ্যে নিয়ে যায়।