এস.এম.শামীম খুলনা
খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়িগেট এলাকায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
ভুক্তভোগী নাজমুল হাসান (আজকের সমাবেশ পত্রিকার সম্পাদক মো. রেজাউল করিমের ছেলে) জানান, গতকাল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ইনহেলার কিনতে ফুলবাড়িগেট বাজারে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে ডেকে নিয়ে রেললাইনের পাশে বেধড়ক মারধর করে। হামলায় নেতৃত্ব দেন সোহাগ মোল্লা (৩৮), যিনি খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলার আসামি। তার সহযোগী ছিলেন স্যানেটারি ব্যবসায়ী নাসির ও মো. আজম (৩৬)।
এ সময় স্থানীয়রা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজমুল কে উদ্ধার করে খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহাগ মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এর আগে সাহেব আলী সরদারের দুই ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ৪-৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এছাড়া বিএনপি নেতা বি.আর.টি মনিরুল ইসলামের দুই ছেলেকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে ১.৫ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগীর পরিবার ইতিমধ্যে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এবং সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর মামা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং সন্ত্রাসীদের কঠোর হাতে দমনের আশ্বাস দেন। স্থানীয় বিএনপি নেতারাও সোহাগ মোল্লার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।.