মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনা জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেনের সঠিক তদারকির কারণে মহানগরীর ৩১ ওয়ার্ডে চাল-আটা নেয্য মুল্যে বিক্রি চলছে। তারমধ্যে ২৭ টি ওয়ার্ডে ডিলারের মাধ্যমে এবং ৪ টা ওয়ার্ডে নিজস্ব ব্যবস্হাপনায় চাল-আটা বিক্রি চলমান রয়েছে। প্রতিদিন ১ টা ওয়ার্ডে ১ টন চাল এবং ১ টন আটা বরাদ্দ রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতি ওয়ার্ডে ২ শ জন পুরুষ মহিলা ৫ কেজি আটা এবং ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে।
তবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায় ৪/৫ বা ৪/৪ কেজি করে চাল আটা দেওয়া হচ্ছে । এসময় সুফল ভোগীদের সঙ্গে আলাপ কালে তারা জানান, প্রতি ওয়ার্ডের ডিলার পয়েন্টে বেশি বেশি লোকজন এসে হাজির হওয়ার কারণে,সবাই যেনো পায় এজন্য কম বেশি ক্রয় করছি । সুফল ভোগী বাঞ্চারাম রায় (৬৪),আঃ রহমান (৬৭), বড়ো বিবি (৬০) ও অমল মন্ডল (৫৮) বলেন,আমরা কম দামে চাল আটা পেয়ে অনেক খুশি। আমাদের ডিলার বা তার লোকজন যে সকল পুরুষ মহিলা বৃদ্ধ তাদের ব্যাগটা নিয়ে চাল আটা দিয়ে তাদের বাসায় যাওয়ার ব্যবস্হা করেন। আমরা প্রতিদিন ভোর বেলায় চলে আসি। কম দামে মাল কেনার জন্য।
গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার বিভিন্ন ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়,পুরুষ মহিলার উপচে পড়া ভিড়। সেখানে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিলারা হলেন,
২নং ওয়ার্ডে মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ মালিক আরমান শিকদার সেন্টু,৩নং ওয়ার্ডে মেসার্স রওশন এন্টারপ্রাইজ মালিক শেখ রওশন মুস্তাফিজ,৪ নং ওয়ার্ডে মেসার্স এস এম ট্রেডার্স মালিক গোলাম সামদানী,৫ নং ওয়ার্ডে মেসার্স মনিরা কনস্ট্রাকশন মালিক মোঃ খবির উদ্দিন,১৩ নং ওয়ার্ডে শহীদ ট্রেডার্স মালিক শহিদুল ইসলাম,
১৪ নং ওয়ার্ডে মেসার্স সুলতান এন্ড সায়মইয়ান এন্টারপ্রাইজ মালিক সেলিম আহম্মেদ,১৬ নং ওয়ার্ডে মেসার্স বিউটি ট্রেডার্স মালিক মোঃ হাসান,২০ নং ওয়ার্ডে মেসার্স ছালাম এন্টারপ্রাইজ মালিক আঃ ছালাম ঢালী,২১ নং ওয়ার্ডে মেসার্স কনিকা এন্টারপ্রাইজ মালিক বিদ্যুৎ রায়,২২নং ওয়ার্ডে মেসার্স ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ মালিক খলিদ হোসেন রাজন,২৩ নং ওয়ার্ডে মেসার্স কাশফিয়া এন্টারপ্রাইজ মালিক মোঃ গোলাম মোর্শেদ,
২৬ নং ওয়ার্ডে মেসার্স মঞ্জুয়ারা এন্টারপ্রাইজ মালিক মঞ্জুয়ারা লাভলী,২৮ নং ওয়ার্ডে মেসার্স হাবিব এন্টারপ্রাইজ মালিক হাবিবুর রহমান,২৯ নং ওয়ার্ডে মেসার্স মেহেরুননেছা এন্টারপ্রাইজ মালিক মাহবুবুর রহমান,৩০ নং ওয়ার্ডে মেসার্স আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ মালিক মোঃ স্বপন,৩১নং ওয়ার্ডে মেসার্স ইসমাইল ট্রেডার্স মালিক মোঃ ইসমাইল। এসকল পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় মানুষের ভিড়, তারা জানান,সকাল থেকে বেলা ২/৩ টা পর্যন্ত চাল আটা বিক্রি চলে। তারা অল্প দামে চাল আটা পেয়ে অনেক খুশি। এজন্য কর্তৃপক্ষকে তারা ধন্যবাদ জানান।
সার্বিক বিষয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন, আমার দুজন মনিটরিং কর্মকর্তা এবং প্রতিটা ওয়ার্ডে তদারকি কর্মকর্তা রয়েছে। তারা প্রতিদিন দুই টন চাল আটা বুঝে নিয়ে মাল বিতরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পয়েন্টে থাকবে। তাছাড়া আমিও পয়েন্টে পয়েন্টে খোঁজখবর নিয়ে থাকি,যেনে কোনো রকম দুর্নিতী না হয়। তাছাড়া পয়েন্টে মাল পৌছানোর পর ভিডিও কলে
মালের বিবরণসহ দেখে তারপর চাল আটা বন্টন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যত সময় পর্যন্ত মাল শেষ না হবে ততক্ষণ তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবে। প্রতিটা পয়েন্ট দুর্নিতী মুক্ত রাখতে প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমি পরিদর্শন করি। তাছাড়া আমি গোপনে পয়েন্টে পয়েন্টে সোর্স রেখেছি। কোন রকম চাল আটা আত্মসাৎ প্রমানিত হলে ডিলার বাতিল ও তদারকি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে। আমি চাই গরীবের হক তারাই বুঝে পাক।।