খুলনা ব্যুরো প্রধান বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনার বটিয়াঘাটা ৬ নং বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ইমরান হোসেন সুমন স্বৈরা শাসক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তার দাপটে এলাকার মানুষ ছিল অতিষ্ঠ, মালিকানা জায়গা সরকারি খাস জায়গাও সাধারণ মানুষের জোর করে দোকান দখল করা অন্যের ড্রেজার জোর করে কেড়ে নেওয়া সহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
তৎকালীন আমলে এসব অভিযোগের থাকা সত্বেও এক মাসের মধ্যে তার নামে নৌ পুলিশ, বটিয়াঘাটা থানায় চারটি সাধারণ ডায়েরি হয়। ২১/১০/২২ তারিখ সাধারন ডায়েরি নং ৯০৪ বটিঘাটা থানার মোড়ে ইসা শেখ তার দোকান ঘর জোর করে দখল করে ইমরান হোসেন সুমনের নামে সাধারন ডায়রি করেন কিসমত , ফুলতলা গ্রামের মাওলানা ইউনুস শেখ গত ১/১১/২২ তার বাড়ির জায়গা জোরপূর্বক দখল থানায় সাধারণ ডায়েরি নং ১৯।
একই গ্রামের রোজিনা বেগম তার জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি করেন ৫/৭/ ২৫ তারিখে ডায়েরি নং ২৬৭ । ২৫/১০/২২তারিখে আনোয়ারা বেগম তার ড্রেজার জোরপূর্ব আটকে রাখার অভিযোগে খুলনা নৌ পুলিশ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। ২৯/১০/২২ আবারো মাওলানা ইউনুস বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় আরো একটি অভিযোগ করেন। এত গুলো অভিযোগ ও আওয়ামীলীগ দোসর হওয়া সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে এই ইমরান হোসেন সুমন,এখনো দেখা যাচ্ছে কখনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে, কখনো উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির সামনে, আবার কখনো থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সামনে বসে আগের মতন সুবিধা ভোগ করছে, ৫ আগস্ট এর পর কিছুদিন গা ঢাঁকা দিয়ে থাকলেও এখন মনে হয় সে যেন এক প্রভাবশালী নেতা।
সে দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে সকল অপকর্ম করে পার পেয়ে গেছে আর এখন রং বদলিয়ে অন্য দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখে অফিস আদালত ম্যানেজ করে বির দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।ডান পন্থী একটি পত্রিকার রিপোর্টারও বটে। যার দোহাই দিয়ে সবকিছুই মাপ পেয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মনে কৌতুহল তাহলে কি আওয়ামী আমলেও ক্ষমতাবান ছিল আর এখনও কি ক্ষমতাবান থাকবে এটাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন? ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে তার অবৈধ জায়গায় গড়ে ওঠা রিসোটটি ও ভেঙে চুরমার করে দেয়।
কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। প্রশাসন নীরব ভূমিকায়।।