আবিদ আজাদ দিঘলিয়া প্রতিনিধি খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের বার-বার নির্বাচিত আহবায়ক গাজী মোঃ মনিরুল ইসলাম। সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান গাজী সিরাজুল ইসলামের সন্তান তিনি । দিঘলিয়ার চন্দনীমহল গাজীপাড়ায় সম্ভ্রান্ত এই মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা গাজী মনিরুল ইসলাম ভৈরব নদীর তীর ঘেঁষা সবুজে ঘেরা চন্দনীমহল গ্রামেই বেড়ে ওঠেন। ছাত্ররাজনীতিতে যোগদানকালে তিনি প্রথমে সেনহাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে একাধিক বার দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদে নির্বাচিত হন। সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দিঘলিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক গাজী মনিরুল ইসলাম দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলকে অত্যান্ত শক্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলেছেন এবং যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তিনি সকল আন্দোলন সংগ্রামে দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলকে সম্মুখ সারিতে এগিয়ে নিয়েছেন এবং সকল কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। গাজী মনিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি গাজী মনিরুল ইসলাম দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন সাধারণ কর্মী। সাধারণ কর্মী হিসেবেই দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের দায়িত্ব পালন করছি এবং আমার নেতৃত্ব যে যতদিন থাকবে আমি আমার মনপ্রাণ উজাড় করে দিয়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনকে উত্তরোত্তর সামনের দিকে নিয়ে যাব। আমি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো একজন আপসহীন নেত্রীর দল করতে পরে আমি গর্ববোধ করি। আমি আমার সর্বোচ্চ এবং সাধ্যমতো চেষ্টা করছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দিঘলিয়া উপজেলা শাখাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। দল থেকে যখন যে কর্মসূচি দেওয়া হয় সে-সকল কর্মসূচি আমি যাথাযথ ভাবে পালন করার চেষ্টা করি। আমার নামে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলা হয়েছে ২৩টি। বিগতদিনে স্বৈরাচার হাসিনার অবৈধ ক্ষমতাকালে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছি আমি এবং আমার পরিবার। আমার বড় ভাই গাজী ফিরোজ গুম হয়েছে আজও তাকে আমরা খুঁজে পাইনি এবং পরিবারের অন্য ভাইদের নামেও রয়েছে একাধিক রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা। তবে এতে করে আমরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছি তার চেয়ে হাজার গুন বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমান। তিনি এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকে শুরু করে ২৪ এর জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেছি এবং হাসিনার পতনও হয়েছে। বিগত দিনে বাংলাদেশে পড়ালেখার মান কমে গিয়েছিলো, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পরেছিলো তবে এই নতুন বাংলাদেশে পড়ালেখার মান আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামীর বাংলাদেশ হবে মেধাবীদের বাংলাদেশ এটি আমি প্রত্যাশা করি। আগামীর রাজনীতিতে তিনি কোনো পদের প্রত্যাশী কি না তা জানতে চাইলে বলেন, আমি কখনও কোনো প্রকার পদের আশা করিনি, দল আমার কর্মকান্ড দেখে মূল্যায়ন করেছে আগামীতেও আমি সেটাই আশা করি। দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব গাজী হিমেল হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, গাজী মনিরুল ইসলাম দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলকে অত্যান্ত সুশৃঙ্খলভাবে গড়েছেন। তাকে আহবায়ক হিসেবে পেয়ে আমরা ছাত্ররাজনীতিতে সামনের দিকে নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাচ্ছি। দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মেহেদি হাসান সাজ্জাদ এ প্রতিবেদককে বলেন, গাজী মনিরুল ইসলাম একজন সফল সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন পরিশ্রমী সাহসী পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা। তার সাথে আমরা স্বস্তিতে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করছি। দিঘলিয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবিদ আজাদ বলেন, আন্দোলনের রাজপথ থেকে খেলার মাঠ, সুরের মূর্ছনা থেকে সেবার কাজে প্রতিটি অঙ্গনে গাজী মনিরুল ইসলাম শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। আমি জুলাই ছাত্রজনতার আন্দোলনে তাকে দেখেছিলাম মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে সামনের সারিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছিলো খুলনার রাজপথ। পুলিশের গুলি, টেয়ার গ্যাস কিংবা সাউন্ড গ্রেনেড কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করেননি তিনি। গাজী মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশে মেধাবী সংগঠন ছাত্রদলের একজন সংগ্রামী ত্যাগী ও সর্বগুণে গুণান্বিত তরুণ ছাত্রনেতা। সেনহাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন,তার মতো নেতা পেয়ে আমরা নির্ভয়ে পথ চলতে শিখেছি। এছাড়াও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী (রাজন, সোহেল, অমিত, রাজা, সাজ্জাদ, নয়ন, আমির, ইমন, নাভিন, সৌরভ) তাকে ভালোবাসা ও প্রশংশায় ভাসিয়েছেন।।