স্টাফ রিপোর্টার-বাংলার চেতনা নিউজ খুলনা।
উচ্চ আদালতে ওএমএস ডিলারদের করা রিট পিটিশন এর আদেশ অবমাননার অভিযোগ উঠেলেও যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের দপ্তর থেকে দপ্তরের হাতে রায়ের কপি না পৌঁছাবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছেন খুলনা খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চলতি মাসের ৪ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরের ওএমএস ডিলার হুমায়ুন আলী ও যশোর পৌরসভার মোট আট জন ডিলার বাদী হয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেন যার মামলা নং-১০১১৪/২০২৫ । এ প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং ফাতেমা আনোয়ার আগামী ৩ মাসের জন্য খুলনা মহানগর এবং যশোর পৌরসভায় যে সকল ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের ডিলার নিয়োগ বাতিলসহ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং পুরাতন ডিলারদের লাইসেন্স নবায়ন করার নির্দেশ দেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর আদেশ দিলেও সেটা বাস্তবায়ন করছে না খুলনার খাদ্য বিভাগ এমন অভিযোগ লাইসেন্স নবায়ন না করা সাবেক ওএমএস ডিলারদের।
তাঁরা জানিয়েছেন সকল ডিলারদের পক্ষে মোঃ খালিদ হোসেন খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুনুর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে সাক্ষাৎ মেলেনি। একাধিকবার অফিসে এবং ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানান ডিলার খালিদ হোসেন। তবে এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারিভাবে দপ্তর থেকে দপ্তরে ডাক বিভাগের গ্যারান্টেড পোস্ট জিইপির মাধ্যমে অফিসিয়াল কাগজ না আসা পর্যন্ত তারা এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছেন না। তবে অফিসিয়াল কাগজ আসলেও তার দপ্তর থেকে শুধুমাত্র কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয় বলে জানান তিনি। অন্যান্য সকল বিষয় খাদ্য বিভাগের আইন উপদেষ্টা সহ সকল বিষয় দেখাশোনা করে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং বিভাগীয় কমিশনার।
অন্যদিকে পুরাতন ওএমএস ডিলারদের পক্ষে ওএমএস ডিলার মোঃ খালিদ হোসেন সহ অন্যান্য ডিলাররা গত ১১ সেপ্টেম্বর মহামান্য আদালতের আদেশের কপি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জমা দেন। ডিলারদের দাবি আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পরেও নতুন ডিলারদের চালান এবং ডিওতে নিয়মিত সই করে যাচ্ছেন সহকারি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ জাকির হোসেন যা বেআইনি বলে দাবি করেন ডিলাররা।।