1. admin@banglarchetona.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনায় মরহুম মাও: আতাউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ইউএনও বিরুদ্ধে চাচা’কে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির নেওয়ার অভিযোগ দিঘলিয়া উপজেলা জাকের পার্টির আয়োজনে জনসভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত টেকসই মান উন্নয়নে বিশ্ব বিনির্মাণে গণসচেতনতা ও ভেজালমুক্ত পণ্য উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির ভূমিকা অপরিহার্য । ৫৬ তম বিশ্বমান দিবস উপলক্ষে ‍আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন। দিঘলিয়ায় ফ্যাসীস্ট সরকারের আমলাদের খবরদারী বিতর্কিত জায়গায় মন্দির নির্মাণ তেরখাদায় উপজেলা আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন খুলনার কয়রায় মারপিট, লুটপাট ও ঘের দখল থানায় অভিযোগ খুলনা ডিসি ফুড তানভীর হোসেনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহনে সর্ব মহলে প্রশংসিত দিঘলিয়ায় শিশু জিসান হত্যার মুল আসামির ফয়সালের বাড়িতে বহিরাগতদের অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ডুমুরিয়ায় খেজুরগাছ কাটা আর গাছির অনাগ্রহে কমছে রস

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৭ বার পঠিত

 

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।

 

শীত মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি টাঙানোর কাজে ব্যস্ত থাকার কথা গাছিদের। কিন্তু এবার শীত শেষে বসন্ত চলে এলেও ডুমুরিয়ায় দেখা মেলেনি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর রস। গাছির অভাব আর গাছ কেটে সাবাড় করায় খেজুর রস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপুল চাহিদা থাকলেও মিলছে না খেজুরের গুড়।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, এখনো বিভিন্ন এলাকায় অনেক খেজুরগাছ থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলো মরে যাচ্ছে। সঙ্গে গাছির অভাবে রস সংগ্রহ করতে পারেন না গাছের মালিকেরা। এ ছাড়া এখন যেসব গাছ আছে, তাতেও পর্যাপ্ত রস মিলছে না।

ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের সাজিয়াড়া শামছুল‌ উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মোস্তাক আহমেদ ও ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরদার আবু সাঈদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা যহন টগবগে যুবক ছিলাম, তখন শীতের সকাল খেজুরের রস ছাড়া জমত না। সকালবেলার ঠান্ডা, মিষ্টি খেজুরের রস যেন অমৃত। আর এহন সেই গাছ থেকে খেজুর রস নামানো দুষ্কর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলা আশ্বিন মাস থেকে সাধারণত রস সংগ্রহ শুরু হয়। তবে পৌষ ও মাঘ মাসে সবচেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়। কিন্তু এবার তীব্র শীতের সময়েও আগের মতো দেখা মেলেনি রসের।

সাজিয়াড়া শামছুল‌ উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল গাফফার  বলেন, ‘শীতের সকালে গাছিদের কাঁধে করে হাঁড়ি ভরা রস নিয়ে যাওয়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য গ্রামীণ বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। কিন্তু মানুষের সৃষ্ট কারণেই এখন আর আগের সেই ঐতিহ্য নেই।’ এ জন্য তিনি যত্রতত্র ইটভাটাকে দায়ী করেন।

এদিকে উপজেলার ডুমুরিয়া উপজেলার‌ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে কয়েকটি খেজুরগাছের। কয়েকজন মালিক বলেন, খেজুর রস পাওয়ার পরিমাণ গাছ ছিলার কৌশল ও যত্নের ওপর নির্ভর করে। এখন গাছিরা খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে সংসার চালাতে পারছেন না। তাই এতে তাঁদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই।

 

উপজেলার গুড় ব্যবসায়ী বিশ্ব বলেন, খেজুর রসের গুড় আগের মতো পাওয়া যায় না। এখন পাটালি গুড় বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতারা পাটালি গুড় দিয়েই শীতকালীন নানান পিঠা খেতে পছন্দ করেন।

 

 

 

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park