শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া বাংলার চেতনা নিউজ
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে স্থাপিত হয়েছে অপরূপ দৃষ্টিনন্দন ইকোরাইমস ঝর্ণা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মাদ আল আমিনের উদ্যোগে নির্মিত এ ঝর্ণা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
জানা গেছে, টানা দুই মাস ধরে দক্ষ ভাস্করদের হাতে রঙ ও শৈল্পিক কাজে সাজানো হয়েছে এ ঝর্ণা। পানির ফোয়ারার নিচে স্থাপন করা হয়েছে সাব-মেটাল মোটর, যা ঝর্ণার পানিকে উপরে তুলে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করছে। এই দৃশ্য এখন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
ইউএনও মুহাম্মাদ আল আমিন জানান, ঝর্ণা নির্মাণে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগ মানুষের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি প্রকৃতির সৌন্দর্যবোধ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীজুড়ে ফোয়ারা বা ঝর্ণা নগর নান্দনিকতার অংশ হলেও বাংলাদেশে এখনও এটি সীমিত আকারে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ধনী পরিবারের বাড়ি, উন্নতমানের শপিং সেন্টার, বাণিজ্যিক ভবন কিংবা সরকারি স্থাপনায় ফোয়ারা দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছোট ছোট ঝর্ণা ঘরোয়া সাজসজ্জার অংশ হিসেবে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝর্ণা শুধু দৃষ্টিনন্দন নয়, এটি মানুষকে মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকার অনুভূতি জাগায়। পাশাপাশি হস্ত ও কুটিরশিল্পের মাধ্যমে ছোট ঝর্ণা তৈরির চাহিদা বাড়লে স্থানীয় শিল্প ও রফতানির ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।।