মোঃ মামুন মোল্লা খুলনা জেলা প্রতিনিধি বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন গিলাতলা ৫নং ওয়ার্ডে প্রতিবন্ধী(১৭)কে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে পার্শবর্তি ইলেকক্ট্রিক মিস্ত্রী রাকিব শেখে(২৫) এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরের পিতা মোঃ মোহন খান বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় নারী ও শিশু দমন আইনের ৯(১)ধারায় মামলা করেছে(মামলা নং-২, তাং-৫/৮/২৫। অভিযুক্ত রাকিব শেখ পলাতক রয়েছে। এদিকে প্রতিবন্ধী ছেলেকে বলাৎকার করার অভিযোগে মামলা করায় বিপাকে পড়েছে বাদীর পরিবার। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করছে বলে বাদী মোহন খান অভিযোগ করেছেন।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, খানজাহান আলী থানাধিন গিলাতলা ৫নং ওয়ার্ডের খানপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালকের ছেলে বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধি কিশোর(১৭)কে পার্শবর্তি ইলেক্ট্রনিক্স মিস্ত্রি রাকিব শেখ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গত ৬মাস যাবত বলৎকার করে আসছিল। গত ১ আগস্ট বিকাল অনুমানিক ৩টার সময় ঐ প্রতিবন্ধী কিশোর (১৭)কে লম্পট রাকিব শেখ গিলাতলা ৫নং ওয়ার্ডস্থ খানপাড়ার জনৈক মোস্ত খানের বাড়ীর পিছনের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পড়নের টাউজার খুলতে বলে। তার কথায় রাজি না হওয়ায় প্রতিবন্ধী কিশোরকে মারধর করে এবং গলায় ছুরি ধরে ট্রাউজার খুলে জোর পূর্বক বলৎকার করে। পরে ঐ কিশোর কান্নাকাটি করতে থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রতিবন্ধী কিশোরকে মারধর করে এবং বলে তুই এই কথা কাউকে বললে তোকে প্রানে মেরে লাশ নদীতে ভাসাইয়া দিব। বিষয়টি পরিবারকে জানালে স্বজনরা প্রতিবন্ধী ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়।
বলাৎকারের স্বিকার প্রতিবন্ধী কিশোরের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য গত ৪ আগস্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী কিশোর পিতা মোঃ মোহন খান বাদী হয়ে মোঃ রাকিব শেখকে আসামী করে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেছে।
মামলার বাদী মোহন খান বলেন, আমার ছেলের সাথে জঘন্নতম অপরাধ করে উল্টো আমার পরিবারকে শাসাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে যে অন্যায় অবিচার করা হয়েছে আমি তার বিচার চেয়ে থানায় একটি মামলা করেছি। মামলা করাটা এখন দেখছি আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। মামলা তুলে নিতে এক এক সময় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল আমাকে ভয়ভীতি দিয়ে হুমকি দেখাচ্ছে।
অভিযুক্ত রাকিব শেখের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরীফ সহিদুল আলম বলেন, প্রতিবন্ধীকে বলাৎকারের অভিযোগে জনৈক মোহন খান একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি দায়েরের পর ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মেডিকেলও সম্পন্ন হয়েছে। মেডিকেল রির্পোট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান এটা এমন একটি ঘটনা যার রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত প্রুভ করা সম্ভব হয়না। আমরা অভিযুক্ত রাকিব শেখ পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। দ্রুত সময়ে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।।