মোঃ আশরাফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে
গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাদের ওপর হামলা এবং সে প্রেক্ষিতে বিতর্কিত ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ায় দিনাজপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. মোসফেকুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ও এনসিপির নেতাকর্মীরা দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন। তারা মোসফেকুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক একরামুল ইসলাম আবির।প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় এনসিপির শীর্ষ নেতারা সেনাবাহিনীর আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ারে করে এলাকা ত্যাগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে মোসফেকুর রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “ট্যাংকের এসি খুব আরামদায়ক শুনেছি”।
স্ট্যাটাসটি পরে মুছে ফেলা হলেও তা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং এনসিপি ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভের মধ্যেই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশ আসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোসফেকুর রহমানকে প্রত্যাহার করে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হেডকোয়ার্টারে রিপোর্ট করতে। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত আদেশে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোসফেকুর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন চলমান রয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, কেবল প্রত্যাহার নয় — তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।।