নিজস্ব প্রতিবেদক।।
খুলনা নগরীর “বয়রা নার্সিংহোম এর ডাক্তার নাসরিন আখতার স্বপ্নার ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতী এক নারী সংকটাপন্ন অবস্থায় দিন যাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিমের পিতা মো: বেলাল হোসেন গণমাধ্যমের নিকট এ সব তথ্য জানান।তিনি বলেন আমার মেয়ে ফারজানা আক্তার মিমকে নিয়ে গত ২৯মে বয়রা নার্সিং হোম ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে ডাক্তার স্বপ্না কয়েকটি টেস্ট করে পেটের ভিতর বেবী ডেথ হয়েছে বলে ডিএনসি অর্থাৎ এবাসন করতে বলেন।অন্যথায় রুগীকে বাঁচানো সম্ভব নয়।আমি উপায় না পেয়ে মেয়েকে বাঁচাতে ভয়ে রাজী হয়ে যাই।এরপর অপারেশন করে রিলিজ করে দিলে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলে আসি।কিন্তু ২ দিন পর থেকে আমার মেয়ের পেটের ভিতর জ্বালা যন্ত্রণা এবং প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ শুরু হলে ফের ডাক্তার স্বপ্নাকে জানাই তখন তিনি মুঠোফোনে কয়েকটি ঔষধ লিখে দেন কিন্তু ঐ ঔষধে কোন কাজ না হলে আমি নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফের আলট্রা স্নো গ্রাফ করলে দেখতে পান পেটের ভিতর ডেথ বেবির ওয়ান থাড রয়ে গেছে। এরপর রোগীকে বাঁচাতে ডাক্তারে পরামর্শে ফের ডিএনসি করাই।বর্তমানে আমার মেয়ে মিম নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে বয়রা নার্সিংহোমের ডাক্তার নাসরিন আক্তার স্বপ্নার সহিত মেয়ের পিতা মো: বেলাল হোসেন মঙ্গলবার স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয়বার অপারেশনের বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করলে তিনি বলেন ডিএনসি করতে গেলে সম্পূর্ণ অনুমানের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করতে হয়।সেক্ষেত্রে ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না।পরে ডাক্তার নাসরিন আক্তার স্বপ্না বিষয়টি মূল্যায়ন করে রুগীর পিতা ক্ষতি পূরন দাবি করলে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন।এ সময় উক্ত ক্লিনিকের স্টাফ এবং গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।।