1. admin@banglarchetona.com : admin :
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনায় মরহুম মাও: আতাউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ইউএনও বিরুদ্ধে চাচা’কে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির নেওয়ার অভিযোগ দিঘলিয়া উপজেলা জাকের পার্টির আয়োজনে জনসভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত টেকসই মান উন্নয়নে বিশ্ব বিনির্মাণে গণসচেতনতা ও ভেজালমুক্ত পণ্য উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির ভূমিকা অপরিহার্য । ৫৬ তম বিশ্বমান দিবস উপলক্ষে ‍আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন। দিঘলিয়ায় ফ্যাসীস্ট সরকারের আমলাদের খবরদারী বিতর্কিত জায়গায় মন্দির নির্মাণ তেরখাদায় উপজেলা আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন খুলনার কয়রায় মারপিট, লুটপাট ও ঘের দখল থানায় অভিযোগ খুলনা ডিসি ফুড তানভীর হোসেনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহনে সর্ব মহলে প্রশংসিত দিঘলিয়ায় শিশু জিসান হত্যার মুল আসামির ফয়সালের বাড়িতে বহিরাগতদের অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত,হাজারো জনতার ভীড়

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২৩ বার পঠিত

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরো প্রধান,

নড়াইল সদর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়,ষাঁড়ের লড়াই ঘিরে দুপুর থেকেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল গড়াতেই বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের চারপাশে বসে যায় নানা পণ্যের দোকান। স্থানীয় খাবার, খেলনা, মাটির তৈজসপত্র, হস্তশিল্পসহ নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও লড়াই দেখতে ভিড় করেন। প্রতিযোগিতায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০টি ষাঁড় অংশ নেয়।

দর্শনার্থীদের মধ্যে উৎসাহ- উদ্দীপনার পাশাপাশি কিছুটা শঙ্কাও ছিল। রাফিয়া সুলতানা নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘ষাঁড়ের লড়াই দেখতে যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি ভয়ও লাগে। কারণ,মাঝেমধ্যেই ষাঁড়গুলো দৌড়ে মানুষের মাঝে চলে আসে। তবু এ খেলা দেখার আনন্দ আলাদা। তবে ষাঁড়গুলোর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ঠেকাতে এখানে মাঠের চারপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি নিয়েই প্রতিযোগিতা উপভোগ করা যাচ্ছে।’দর্শনার্থীদের মতে,ষাঁড়ের লড়াই শুধু একটি সাধারণ খেলা নয়; এটি বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই এই লড়াই গ্রামবাংলার মানুষের বিনোদন ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা উচিত,যাতে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জীবন্ত থাকে।রুমানা আক্তার নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, আগে বিভিন্ন মেলা, উৎসব ও বিশেষ উপলক্ষে এই লড়াই আয়োজন করা হতো,যেখানে আশপাশের গ্রামবাসী একত্র হয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন। একসময় যা ছিল গ্রামীণ জীবনের রোমাঞ্চকর অংশ, এখন তা কেবল স্মৃতির পাতায় ঠাঁই নিতে চলেছে। অনেক দিন পর এই প্রতিযোগিতা দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।আয়োজকদের একজন মো. জাহিদুল মোল্যা বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মকে এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনে বিপুল দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রমাণ করেছে, এখনো মানুষ এই ঐতিহ্যের প্রতি আকৃষ্ট। প্রয়োজন শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখার সচেতন উদ্যোগ। তাই ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন করা হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park