রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , পশ্চিমবঙ্গ
আজ ১১ই ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার, মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানা এলাকায়, কল সেন্টারের আড়ালে বিপুল অঙ্কের সাইবার প্রতারণা চক্রের হদিশ , পাঁশকুড়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার কল সেন্টারের মালিক।
পাঁশকুড়া থানা এবং দমদম পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি চালায় দমদমের মতিলাল কলোনিতে, যে বাড়িটিতে কল সেন্টার চলতো সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ জানতে পারে মূলত কল সেন্টারের আড়ালে চলত সাইবার প্রতারণা।
জানা যায় অচেনা নম্বরে ফোন ধরলে , ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নিঃসঙ্গতা কাটানো বা প্রেমের প্রস্তাব আসত, কখন বা চাকরির নাম করে রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা চাওয়া হতো। এই ফাঁদে পা দিয়ে সর্বশ্রান্ত হয়েছে অনেকেই , বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পেতেই তদন্ত নেমেছিল পুলিশ।
এই ঘটনায় মোট ১৮ জন মহিলা এবং কল সেন্টারে মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৭ জনের নামে দমদম থানায় সুওমোটো কেস হয়েছে, মূল অভিযুক্ত ঘনশ্যাম হালদারকে গতকাল গ্রেফতার করে পাঁশকুড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ তাহকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক আদালতের উদ্দেশ্যে।
যদিও ঘনশ্যাম হালদার এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি, তিনি শুধু বলেন, এফআই আর দায়ের হয়েছে , কি হয়েছে দেখে নিন।
পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তাপস হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে দমদম থেকে গ্রেফতার হয় ওই মূল অভিযুক্ত, পুলিশ সূত্রে জানা যায় পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তাপস হাজরাকে বাড়িতে বসে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে, তাহার কাছ থেকে ধাপে ধাপে মোট পাঁচ লাখ 86 হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ওই জাল চক্র, তারপরে পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হয় কল সেন্টারের মালিক ঘনশ্যাম হালদার। বহুদিন ধরেই কল সেন্টারের আড়ালে এই চক্র বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছিল।