রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, পশ্চিমবঙ্গ ,কলকাতা
আজ ১০ই ফেব্রুয়ারী সোমবার, সারা পশ্চিমবাংলার স্কুলে স্কুলে যখন মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, ঠিক সেই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের, বাথানবেড়িয়া শ্রীনিবাস বিদ্যামন্দির উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে এই বৎসর মাধ্যমিক পরীক্ষা শীত পড়ায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের সামনে জমায়েত হচ্ছে।
কোলাঘাটের চারটে স্কুলে মোট 433 জন পরীক্ষার্থী রয়েছে , অভিভাবকরা তার ছেলেমেয়েদের সাথে নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে জমায়েত, সকাল সাড়ে নটা থেকেই স্কুলে ভিড় জমে ছাত্র-ছাত্রীদের, এমনকি অনেককেই নার্ভাস হতে দেখা যায়, কারণ তারা এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন,, তাই পরীক্ষা কেমন হবে এবং প্রশ্নপত্র কেমন আসবে, সেই নিয়ে একটু টেনশনে রয়েছেন সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা। সকাল ১১ টা ৪৫ থেকে পরীক্ষা শুরু হবে, তাহারা বলেন আমরা তো পড়ে এসেছি এরপর ভগবানের নাম নিচ্ছি। এবং প্রথম দিন পরীক্ষার জন্য কোথায় সিট পড়বে আর কোন রুমে, তাই আমরা আগে থেকে এসে লিস্ট দেখছি।
এর সাথে সাথে দেখা গেল, স্কুলের গেটের সামনে বিজেপি নেতৃত্বরা, গোলাপ ফুল, কলম এবং চন্দনের ফোঁটা দিয়ে প্রত্যেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ছাত্র-ছাত্রীকে বরণ করে নিচ্ছেন,
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য বিজেপি সদস্যরা বলেন, আমরা এগুলো দিয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই কারণে, এটাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের পথ এগিয়ে চলার পথ, আগামী দিনে ভালো পড়াশোনা করে যদি কিছু করতে পারে কারণ শিক্ষাব্যবস্থা যেভাবে ভেঙে পড়েছে, পড়াশুনা করে চাকরি পাচ্ছে না, তাই আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এগিয়ে চলার পথ দেখাতে চাই এবং পড়াশোনা জানো এখান থেকে এগিয়ে চলে আগামী দিনে এই ছাত্র-ছাত্রীরা যেন কিছু করতে পারে, খাবে খাবে ব্যবস্থা যেন নতুন করে সেজে উঠে, এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয়। ওরা ভালো পরীক্ষা দিক ভালোভাবে পাস করুক এটাই আমাদের কামনা।
প্রশাসনিক তরফ থেকেও সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন এবং পরিবহনের তরফ থেকেও যাতে ছাত্রছাত্রীরা ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারে এবং কোনরকম গন্ডগোলের সম্মুখীন না হয়। কোনো ভাবের রাস্তায় জ্যামে না আটকে পড়ে তাহার সমস্ত রকম ব্যবস্থা সরকারের তরফ থেকে করেছেন। এমন কিছু শিক্ষকদের তরফ থেকেও শুভেচ্ছা বার্তা জানান ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে।
অভিভাবকরাও জানান, আমাদের ছেলে মেয়েরা, টেনসনে তো একটু আছেই, যে একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, আমাদের চিন্তা ছিল পরীক্ষা হবে কি হবে না, আমরাও ওদের সাথে এসেছি , পরীক্ষা ভালো হোক ভালোভাবে পাস করুক এটাই আমাদের বড় আশা, আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পাড়ায় খুশি। আর শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা দিতে পারুক এটাই কামনা করবো।