স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনা, ০৭ অক্টোবর রাজবাঁধ মধ্যপাড়া বাইতুল মামুর জামে মসজিদের গেটের সামনে গতকাল (স্থানীয় সূত্রে) মোঃ মিজানুর গাজী (৫০), পিতা মোঃ শওকত আলী গাজীকে এক পুরান শত্রুতার জেরে একই এলাকার বেলায়েতের ছেলে মোঃ জনি শেখসহ অজ্ঞাত সংখ্যক ব্যক্তি মারধর করলে তিনি রাস্তার উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে যান। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত মিজানুর গাজীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং পরে পরিস্থিতির তীব্রতার কথা বিবেচনা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। আহতের শারীরিক অবস্থার ও বিস্তারিত চিকিৎসা বিষয়ে হাসপাতালের তরফ থেকে এখনই বিস্তারিত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, জনি শেখ দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন কিশোরগঞ্জ-ভিত্তিক অসামাজিক কর্মকাণ্ডে নাম জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে—জনি শেখ ৫ই আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন; তবে ৫ই আগস্টের পরে এলাকায় কিছু হাইব্রিড নেতার সহযোগিতায় তার আচরণ পাল্টে যায় এবং তিনি মাদক, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় আগে থেকেই নানা অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, “এ লোকটাকে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই গ্রামে সমস্যা ছিল — মাদকচক্র, চাঁদাবাজি ইত্যাদি নিয়ে সবাই চাপে ছিল। আজকের হামলাটি ওই পুরোনো শত্রুতার জেরেই ঘটে থাকতে পারে।” (উক্তি স্থানীয়দের বর্ণনা হিসেবে সংগৃহীত)।
আহত মিজানুরের বড় ভাই ও পরিজনরা অভিযোগ করেছেন যে—ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং একাধিক ব্যক্তির অংশগ্রহণ রয়েছে। তারা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অনুরোধ করেছেন। তারা বলেন, “আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রত্যাশা করছি।”
দিঘলিয়া থানার এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল এবং আহতের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আহত সম্পর্কে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে থানার পক্ষ থেকে ঘটনার সময়, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ও মামলা দায়ের সম্পর্কিত চূড়ান্ত বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি।
গ্রামবাসী এবং এলাকাবাসী নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছে—তবে একই সঙ্গে অনেকে আশা করছেন, দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থল ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কিত আরও তথ্য জ্ঞাত করার জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং হাসপাতালে আহতের চিকিৎসার অগ্রগতি ও থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানা গেছে।
ধারণা / অভিযোগ: স্থানীয়দের অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত শুধুই অভিযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে; দোষী সাব্যস্ত হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।।