নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় আজ শনিবার, ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা মদিনাবাগ আবাসিক এলাকা জনকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিপিএম (সেবা)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার অমিত কুমার বর্মন এবং মদিনাবাগ আবাসিক এলাকা জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
সভাটি সঞ্চালনা করেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম মল্লিক এবং সভাপতিত্ব করেন জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও দারুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ রমজান আলী হাওলাদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“মাদক এখন আর শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতির বিষয় নয়—এটি পুরো সমাজ, জাতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। একদিকে যেমন এটি পরিবারে অশান্তি তৈরি করছে, অন্যদিকে অপরাধের বিস্তারেও এর বড় ভূমিকা রয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ও চুরি দমনে। কিন্তু শুধু পুলিশের পক্ষে এসব অপরাধ দমন সম্ভব নয়। প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে।
আপনারা নিজের এলাকায় অপরিচিত বা সন্দেহজনক কাউকে দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানাবেন। বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করুন। যুব সমাজকে খেলার মাঠে ফেরান, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করুন। যদি আমরা সকলে মিলে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসি, তাহলে মাদকমুক্ত, নিরাপদ এবং শান্তিময় খুলনা গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার মাত্র।”
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার অমিত কুমার বর্মন বলেন, “নগরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে কেএমপি সদা সচেষ্ট। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে অপরাধ দমন সহজ হবে। মাদক ও অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ–জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।”
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মোঃ রমজান আলী হাওলাদার বলেন, “আমরা চাই একটি নিরাপদ মদিনাবাগ। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সমিতি শুরু থেকেই এলাকাবাসীর পাশে আছে।”
বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, “অপরাধ দমনে সামাজিক পর্যায়ে প্রতিবেশী নজরদারি ও সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল হাতিয়ার। পুলিশকে সহযোগিতা করলেই এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।”
সভায় আরও আলোচনা হয়—চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস রোধে এলাকাবাসীর ভূমিকা, মহল্লাভিত্তিক টহল ব্যবস্থা, ও সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম জোরদারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। সভা শেষে অংশগ্রহণকারীরা একযোগে মাদকমুক্ত, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল মদিনাবাগ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।