দৌলতপুর থানা প্রতিনিধি,বাংলার চেতনা নিউজ খুলনা
নগরীর ৩ নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর মধ্যডাঙ্গা গ্রামের মধ্যডাঙ্গা দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা সহ গ্রামের তিনটি বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলকে সামনে রেখে এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় সভায় মুহতামিম ও সভাপতির সাথে তুচ্ছ একটি ঘটনায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক উত্তেজনা।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় প্রতিবছর একাধিক ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হলেও গ্রামবাসীর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে একই এলাকায় পরপর তিনটি মাহফিল না করে একত্রে একটি মাহফিল করা যায় কি না সেজন্য গ্রামবাসীদের সাথে মাদ্রাসা কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা চলাকালীন সময়ে কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব দাউদ হায়দার গ্রামবাসীদের সকলের মতামতের ভিত্তিতে একত্রে একটি মাহফিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এসময় মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসানের মতানৈক্য না হওয়ায় এক পর্যায়ে তিনি সভা থেকে চলে যাওয়ায় ফয়সালা বিহীন শেষ হয় সভাটি।
পরবর্তীতে পরেরদিন সকালে কমিটির লোকজন ও এলাকাবাসীরা মাদ্রাসার একটি অফিস কক্ষে তালা দিয়ে দেয়।
তবে ঐ দিনেই কমিটি ও গ্রামবাসীর লোকজন সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষের তালাটি খুলে দেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, পূর্ব ঘোষিত সভায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব দাউদ হায়দারকে উদ্দেশ্য করে মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসান বলেন তাঁর কাছে সকলের শিখতে হবে। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন মুফতি মাহমুদুল হাসান। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের উপর কোন প্রভাব পড়েনি। মাদ্রাসার পাঠ্য দান সহ সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক সেটি তিনি চান না। সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল যোগসাজশে ঘটনাটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তবে গ্রামবাসী স্পষ্ট জানিয়েছেন, আলহাজ্ব দাউদ হায়দার একজন দানশীল ও মানবিক ব্যক্তি। তিনি নিজ অর্থায়নে এলাকায় একাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য দেনা পরিশোধের জন্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রদান করেছেন, যা আজ পর্যন্ত ফেরত নেয়ার দাবি করেননি তিনি।
গ্রামবাসীর ভাষায়, যিনি এতো কিছু করেছেন এলাকার জন্য, তিনি কখনোই মাদ্রাসা বা সমাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারেন না। বরং একটি মহলই দাউদ হায়দারের মতো দানশীল ব্যক্তির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মধ্যডাঙ্গা দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসায় মুহতামিম মাসুদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে না পেলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসার তালা কমিটি নিজেই খুলে দিয়েছে এবং বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে।।