মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :
সরকার পতনের পর স্থানীয় বাজারে লুটপাট ও গ্রাম এলাকায় তান্ডবের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ দেয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। ২১ আগস্ট বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার উপজেলার সাপজেলা বাজারের মৃধা মার্কেটের দলীয় কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী বিএনপি নেতা জাকির মৃধা এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জাকির মৃধা বলেন, আমি সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি শুরু করি। সেখান থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে যুবদল ও বিএনপির দায়িত্বশীল পদে অবর্তীর্ণ হই। বিগত আ.লীগ সরকার আমলের প্রত্যেকটা মামলার আমি আসামী হই। আমার কোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগের লোকজন দখল করে নেয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান, যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মাহবুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মাস্টার,ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন আলমগীরসহ তাদের দল সাপলেজায় ব্যপক লুটপাট, ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। বিষটি উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. রুহুল আমীন দুলালকে অবহিত করলে তিনি কোন কর্ণপাত করেনি। এ ঘটনায়কে কেন্দ্র করে গত ১৮ আগস্ট আমার লোক জনের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রের পাশাপশি আমার ছবি এডিট করে মাদকাসক্ত সাজিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল করে। এছাড়া বিভিন্ন গণম্যাধ্যম কর্মিকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির খান জেলা আ.লীগ সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের খালাতো ভাই। আ.লীগের সাথে সখ্যতার কারনে তার কমিটির কোন সদস্যের নামে মামলাও নেই।
ব্যপারে ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিগত দিনগুলোতে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মিরাজ মিয়ার সাথে গভীর সম্পর্ক রেখে ফয়দা নিয়েছেন।