1. admin@banglarchetona.com : admin :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
র‍্যাব-৬ কর্তৃক যশোর হতে স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি আসাদুল আটক কুয়েটে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত খুবিতে ৫ কর্মচারী কর্মকর্তা- কর্মচারী প্রনোদনা পুরস্কার পেলেন খুলনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক। খুলনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি আটক। ডুমুরিয়ায় পোকা দমনে আলোক ফাঁদ খুলনায়  অবৈধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান দিঘলিয়ায় অফিস ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতাবৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত। ফুলবাড়ীতে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ৮ জন চোরচক্র সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ দিঘলিয়ায় ভাতিজি ধ”র্ষ”ন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষক আজম মোড়ল আটক।

বি.এম. বাকির হোসেনের রহস্যজনক, মৃত্যুর বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
  • ৩৮ বার পঠিত

 

চৌধুরী জুয়েল রানা স্টাফ রিপোর্টার 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকস এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের অন্যতম প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মরহুম বি.এম. বাকির হোসেনের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় তাঁর নিজ বাড়ি নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার দক্ষিণ যোগানিয়ায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে এই মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মরহুমের ছোট ভাই বি.এম. নাগিব হোসেন বলেন, ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নির্দেশে বি.এম. বাকির হোসেনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে থাকা অবস্থায় শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং পরে বাকির হোসেনের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি বলেন একই মামলায় অন্য আসামিরা উচ্চ আদালতে খালাস পেলেও বিএম বাকির হোসেনের আপিল গ্রহণ করা হয়নি, যা বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি তাঁর জামিন শুনানি নির্ধারিত থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।

পরিবার জানায়, ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে প্রাতরাশের কিছুক্ষণ পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে ১০টায় তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক একটি ইনজেকশন প্রয়োগ করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন এবং দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উপস্থিত ছিলেন কারা কর্তৃপক্ষের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা, তবে চিকিৎসার বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ দেখানো হয়নি।

পরিবারের দাবি, কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। তাঁকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় এবং মৃত্যুর আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালমাটিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে পরিবারের সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এরপর অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, একজন কারাবন্দি নাগরিক হিসেবে বিএম বাকির হোসেনের চিকিৎসা ও নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি, যা সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। “আমরা বারবার তদন্তের দাবি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”

সংবাদ সম্মেলনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন, দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানান। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, শুভানুধ্যায়ী ও আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park