1. admin@banglarchetona.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনায় মরহুম মাও: আতাউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ইউএনও বিরুদ্ধে চাচা’কে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির নেওয়ার অভিযোগ দিঘলিয়া উপজেলা জাকের পার্টির আয়োজনে জনসভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত টেকসই মান উন্নয়নে বিশ্ব বিনির্মাণে গণসচেতনতা ও ভেজালমুক্ত পণ্য উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির ভূমিকা অপরিহার্য । ৫৬ তম বিশ্বমান দিবস উপলক্ষে ‍আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন। দিঘলিয়ায় ফ্যাসীস্ট সরকারের আমলাদের খবরদারী বিতর্কিত জায়গায় মন্দির নির্মাণ তেরখাদায় উপজেলা আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন খুলনার কয়রায় মারপিট, লুটপাট ও ঘের দখল থানায় অভিযোগ খুলনা ডিসি ফুড তানভীর হোসেনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহনে সর্ব মহলে প্রশংসিত দিঘলিয়ায় শিশু জিসান হত্যার মুল আসামির ফয়সালের বাড়িতে বহিরাগতদের অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

দেবহাটায় আনারুলের স্বপ্ন পূরণের গল্প

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১৮২ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন।

২০২৪ উৎপাদন বছরে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাশিসা গ্রামের আহসানিয়া ফিস খামার বাগদা চাষে অভাবনীয় সফলতা দেখিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গাশিসা গ্রামে আহছানিয়া ফিস খামার নামে বাগদা চিংড়ি খামারের কার্যক্রম চলমান আছে যার মালিক জনাব আনারুল, পিতাঃ জবেদ আলী মোড়ল, মাতাঃ আলেয়া বেগম, গ্রাম: পূর্ব নলতা, ডাকঘর: নলতা মোবারক নগর। তার খামারটি মুলতঃ ১২ টি পুকুর সম্বলিত , খামারের মোট আয়তন ৯.০০ হেক্টর যার জলায়তন ৪.৮০ হেঃ। এটি একটি আধানিবিড় বাগদা চিংড়ি খামার। চাষকালে তিনি উপকুলীয় পরিবেশগত বিষয়াদি বিবেচনায় রেখে পরিবেশ বান্ধব খামার পরিচালনা করছেন। তিনি চিংড়ি চাষে সরকার অনুমোদিত বৈধ উপকরন ব্যবহার করে থাকেন। চিংড়ি উৎপাদনে তিনি কখনো গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন না। সম্পুরক খাদ্য হিসাবে তিনি সর্বদা সিপি বা অবন্তি কোম্পানির মানসম্মত ফিড ব্যবহার করেন। মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা যায় উক্ত খাদ্য নমুনায়ন করে এ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায়নি। চিংড়ি নমুনায়ন করেও এ পর্যন্ত কোন গ্রোথ হরমোন বা এন্টিবায়োটিক/কীটনাশক/নিষিদ্ধ কোন ক্যামিক্যাল পাওয়া যায়নি। ঘের প্রস্তুতকালীন তিনি কোন নিষিদ্ধ কোন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করেন না যা পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ২০২৪ উৎপাদন বছরে খামারের ৪.৮০ হেক্টর জলাশয়ের ১২ টি পুকুরে ৬১.২৫ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেন। অর্থাৎ হেক্টর প্রতি ১২.৭৬ মে. টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করেছেন। প্রতি হেক্টরে ব্যয় করেছেন ৭০.৮৩ লক্ষ টাকা, আয় করেছেন ১০৯.৩৮ লক্ষ টাকা, ফলে হেক্টর প্রতি তিনি লাভ করেছেন ৩৮.৫৪ লক্ষ টাকা, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সাড়া জাগানো খবর। এ ধরনের আধা নিবিড় পদ্ধতি অনুসরন করে আশপাশের অনেক বাগদা চিংড়ি চাষি বাগদা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন ফলে আধা নিবিড় বাগদা চিংড়ির খামার সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন উপজেলায় বর্তমান ৩ টি আধানিবিড় বাগদা খামার রয়েছে। আধানিবিড় খামার বাড়ানোর জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কারন সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে হেক্টর প্রতি মাত্র ৩৫০ কেজি বাগদা উৎপাদিত হয় সেখানে আধানিবিড় পদ্ধতিতে হেক্টর প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার কেজি বাগদা উৎপাদন সম্ভব। উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায় দেবহাটা উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর আয়তনের ৭৭৫ টি গলদা ঘের রয়েছে যার উৎপাদন ৮৮৯ মে.টন ও ৮৮৯৩ হেক্টর আয়তনের ৭৪৬৯ টি বাগদা চিংড়ি ঘের রয়েছে যার উৎপাদন ৩৩৯০ মে.টন। অন্যদিকে মাত্র ১১ হেক্টর আয়তনের ৩ টি আধানিবিড় বাগদা খামার রয়েছে যার উৎপাদন ১৪৩ মে.টন। দেবহাটা উপজেলায় মাছের ৪৯৩৩ মে. টন চাহিদার বিপরীতে ১০৪৮১ মে.টন মাছ উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ ৫৫৪৮ মে.টন মাছ বেশি উৎপাদিত হয়। মাছ ও চিংড়ি চাষে সমৃদ্ধ এ উপজেলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখছে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park