মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা ব্যুরোচীফ,বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার পিআইও অফিসে দুদকের ঝটিকা অভিযান। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান বলে দাবী করেন দুদক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের টিআর ও কাবিখা খাত থেকে বরাদ্দ পাওয়া ডিসি ইকো পার্কের পাঁচটি প্রকল্পে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া দুদকের উপ-পরিচালক বিজয় কুমার রায়ের নেতৃত্বে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তিন সদস্য বিশিষ্ট দুদকের একটি দল। এ সময় নিকট আত্মীয়র অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে অফিসে উপস্থিত ছিলেন না গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনসুর রহমান।
মেহেরপুরের গাংনী ডিসি ইকো পার্কে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের টিআর ও কাবিখা খাত থেকে বরাদ্দ পাওয়া ডিসি ইকো পার্কের পাঁচটি প্রকল্পে সাড়ে ২৪ লাখ টাকার লুটপাটের অভিযোগ তোলেন পার্কের বিভিন্ন ইজারাদার ও স্থানীয় জনগণ। বরাদ্দকৃত কাজের মধ্যে ছিল শিশু পার্কে রাইড স্থাপন,পার্কের চারপাশে ফেন্সিং,ওয়াশরুম সংস্কার ও পিকনিক সেড মেরামত, অস্থায়ী দোকান সেড নির্মাণ, পার্ক থেকে বধ্যভূমি পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন,
প্রধান গেট নির্মাণ ও মাটি ভরাট। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, কাজের মান নিম্নমানের। কিছু কাজ একেবারেই অসম্পূর্ণ। পিকনিক সেড নির্মাণ হয়নি, ওয়াশ রুমের অবস্থা নাজুক, শিশুদের রাইড নষ্ট হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সবচেয়ে বড় অনিয়ম ধরা পড়ে মাটি ভরাটে। শর্ত ছিল বাইরে থেকে মাটি কিনে ভরাট করতে হবে,কিন্তু দেখা যায় পার্কের সামনের বধ্যভূমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে এনে ভরাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় পার্কের ইজারাদার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও অধিকাংশ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। কাগজপত্রে পূর্ণাঙ্গ কাজ দেখিয়ে বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করেছেন পিআইও মনসুর রহমান। সরকারি অর্থে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও পিআইওর অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে জনগণ এর সুফল পাচ্ছে না। অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন,অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সুত্রে জানা গেছে,দেশ ব্যাপি দুর্নিতী গ্রস্হ দপ্তর এবং দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা নেওয়া হবে। অন্য দিকে গোপন সুত্রে জানা গেছে,ইতিমধ্যে অনেক গুলো ক্যাটাগরিতে তালিকা করা হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া চলছে। যে কোন সময় ঝটিকা অভিযান চালানো হবে।।