এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া পরীক্ষার শেষ সময় ছাত্রীর ছবি ধারণ করেন মোবাইল ফোনে।
গত সোমবার (৭ই জুলাই) বিকাল পৌনে ৫ টায় মোবাইল ফোনে ছাত্রীর ছবি ধারণ করে ছবি তোলার সময় ছাত্রীর নজরে আসে। নবম শ্রেণীর ছাত্রী শিক্ষকের নিকট এসে জিজ্ঞাসা করেন স্যার ছবি তুলেছেন শিক্ষক প্রথমে অস্বীকার করে ছাত্রী শিক্ষকের মোবাইল দেখতে চাইলে মোবাইল দেখাতে অস্বীকার করেন পাশে ছিল ৩ জন ছাত্রী অর্পিতা, আরিফা ও জারা শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে মোবাইল দেখাতে বাধ্য হন। উক্ত মোবাইলে জুম করা পাঁচটি ছবি দেখতে পায় শিক্ষার্থীর। সাথে সাথে শিক্ষক ছবি মুছে ফেলেন ফোন থেকে। শিক্ষার্থী বিষয়টি প্রধান শিক্ষক এস এম ফরহাদ হোসেনকে অবগত করে। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বে শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাকে অরুচি পুণ্য আচরণ হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফারহাদ হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কিবরিয়ার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আমি মৌখিকভাবে তাঁকে ছুটি দিয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন বলেন, পরিবেশ আমাদের অনুকূলে আছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর আমরা অধিকতর তদন্ত করে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।।