1. admin@banglarchetona.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনায় মরহুম মাও: আতাউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ইউএনও বিরুদ্ধে চাচা’কে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির নেওয়ার অভিযোগ দিঘলিয়া উপজেলা জাকের পার্টির আয়োজনে জনসভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত টেকসই মান উন্নয়নে বিশ্ব বিনির্মাণে গণসচেতনতা ও ভেজালমুক্ত পণ্য উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির ভূমিকা অপরিহার্য । ৫৬ তম বিশ্বমান দিবস উপলক্ষে ‍আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন। দিঘলিয়ায় ফ্যাসীস্ট সরকারের আমলাদের খবরদারী বিতর্কিত জায়গায় মন্দির নির্মাণ তেরখাদায় উপজেলা আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন খুলনার কয়রায় মারপিট, লুটপাট ও ঘের দখল থানায় অভিযোগ খুলনা ডিসি ফুড তানভীর হোসেনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহনে সর্ব মহলে প্রশংসিত দিঘলিয়ায় শিশু জিসান হত্যার মুল আসামির ফয়সালের বাড়িতে বহিরাগতদের অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

দিঘলিয়ায় স্মার্ট পদ্ধতিতে করলা চাষে সাড়া ফেলেছেন উজ্জ্বল দাস।

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১১২ বার পঠিত

এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।।

 

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় স্মার্ট কৃষির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন গোয়ালপাড়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল দাস। মালচিং ফ্লিম ব্যবহার করে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষ করে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার সমন্বয়ে কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা যায় ।

বর্তমানে দিঘলিয়া উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারে (UDC) উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত উজ্জ্বল দাস, কৃষির প্রতি বিশেষ আগ্রহ থেকে গত দুই বছর ধরে স্মার্ট পদ্ধতিতে সবজি চাষে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি কৃষিকে শুধু পেশা নয়, বরং একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা খাত হিসেবে দেখেন। সেই ভাবনা থেকেই তিনি মালচিং পদ্ধতি বেছে নেন।

সম্প্রতি তিনি ১৮ শতাংশ জমিতে মালচিং ফ্লিম ব্যবহার করে ‘ঝর্ণা (F1)’ জাতের করলা চাষ করেন এবং অভাবনীয় সাফল্য পান। জমিতে মালচিং ফ্লিম বিছিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে গাছ রোপণ করে তিনি পানির অপচয় কমিয়েছেন, আগাছা নিয়ন্ত্রণ করেছেন এবং রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবও অনেকাংশে কমিয়ে এনেছেন। তার এই চাষে ফলন যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি তুলনামূলকভাবে খরচও হয়েছে কম।

উজ্জ্বল দাস বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিতে সফলতা সম্ভব—সেই বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে চাই। মালচিং পদ্ধতিতে ফলন যেমন ভালো, তেমনি রোগবালাই কমে এবং জমির উর্বরতাও টিকে থাকে।”

শুধু করলা নয়, উজ্জ্বল দাস অন্যান্য সবজির চাষেও স্মার্ট পদ্ধতি প্রয়োগ করে ভালো ফল পাচ্ছেন। এলাকার কৃষকদের কাছে এখন তিনি একজন আদর্শ ও প্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব। তার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই স্মার্ট কৃষি পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন।

দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এভাবে প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি চর্চা ছড়িয়ে পড়লে এলাকার অর্থনীতি যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি তরুণদের মধ্যে কৃষিকে ঘিরে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতাও বৃদ্ধি পাবে।

স্মার্ট কৃষি নিয়ে উজ্জ্বল দাসের নিরলস পরিশ্রম ও অদম্য উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের কৃষিতে এক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park