এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানিগাতী মোড়ল পাড়ার এক ষোড়শী কন্যাকে ধ’র্ষ’ণ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পলাতক চাচা আজম মোড়ল ঢাকা থেকে আটক । দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ।
১৩ ই আগষ্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পলাতক আজম মোড়ল ঢাকা থেকে আটক হয়েছে। এবং ঐ রাতেই আজম মোড়ল কে দিঘলিয়া থানায় আনার জন্য থানা পুলিশের একটি টিম রওনা দিয়েছে।
ভিকটিম বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। লোক জানাজানির পর ধর্ষক আজম মোড়ল (৩৭) পলাতক ছিল।
এলাকাবাসী ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায় পানিগাতী গ্রামের শাহজাহান মোড়লের পুত্র আজম। গত বছর নভেম্বর মাসে দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের পানিগাতী গ্রামের ষোড়শীকে কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে খুলনা বড় বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় আযম ভিকটিমকে ইজিবাইকে করে একটা তালাবদ্ধ পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে ধারালো ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়। আযম মেয়েটাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এরপর থেকে সে ভিডিও দ্বারা ব্লাক মেইল করে একাধিক জায়গায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম ভিডিও প্রচারের ভয়ে সকল ঘটনা গোপন রেখেছে।ইতোমধ্যে সে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ভিকটিমের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ায় স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে সন্তান ডেলিভারী করাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে ধর্ষক আত্মগোপনে চলে যায়।
আযম লোক মারফত ভিকটিমকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার অফার করেছে এবং অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান নষ্ট করে দিতে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।ধর্ষক আযম এক মাস আগে চাকুরিরত মেয়েকে বিয়ে করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে ধর্ষিতার গরীব পিতা খুলনা পারিবারিক আইন সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।