এস.এম.শামীম,খুলনা ।
স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপ, সাংবাদিকদের ফ্যাসীস্ট শক্তির হুমকি
দিঘলিয়ায় এখনো সক্রিয় ফ্যাসিস্টদের দোসর, প্রমাণ দিঘলিয়ার বাসুদেব ঘোষ। ফ্যাসিস্ট আমলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই মোটা অংকের সরকারি প্রকল্প পাশ, সাংবাদিকদের ফ্যাসিস্টের সময়ের ভয় দেখানো, চলমান মামলার জমিতে জোর পূর্বক মন্দির নির্মাণ, ফ্যাসিস্ট শক্তি নেপথ্যে থেকে অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ।
দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকায় একটি জমি নিয়ে বাসুদেব ঘোষ এবং দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মামলা, চলমান এই মামলার জমির উপর বাসুদেব ঘোষ মন্দির নির্মাণ করতে গেলেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,বাবু বাসুদেব ঘোষ, ঘোষপাড়া সার্বজনীন মন্দির নামে একটি সাইনবোর্ড তুলে নিজের ভাইকে দিয়ে কমিটি করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতাধর আমলাদের মাধ্যমে চলমান মামলার জমির উপর ১৬ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার বাগিয়ে নিয়ে আসে,এবং কাজও শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, এরই মধ্যে ভুক্তভোগী দিঘলিয়া এল জি আর ডি অফিস,ইউ এন ও,সহকারী ভুমি কমিশনার সহ ডিসি মহোদয়কে লিখত অভিযোগ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় একদল গণমাধ্যম কর্মী বাসুদেব ঘোষের মন্দিরে গেলে বাসুদেব ঘোষ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার থাকলে আপনারা এখানে আসতে পারতেন না। তিনি আরও বলেন সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা নেই। নিরুপায় হয়ে সকল সাংবাদিক খুলনা এলজিইডি’র উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে উক্ত প্রকল্পের কথা জানতে চাইলে তিনি এ সকল দুর্ণীতিগ্রস্থ প্রকল্পের বিরোধিতা করে প্রকল্প বাতিল করেন এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শুরু কাজের সমাপ্তি ঘটান কিন্তু থেমে নেই বাসুদেব ঘোষ। তিনি ধাপে ধাপে কাজ করেন কোনো অদৃশ্য ফ্যাসিস্টের হাত ধরে, এরই মধ্যে দিঘলিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাংশু বিশ্বাস চলমান মামলার জমিতে কাজ না করার অনুরোধ জানান বাসুদেব ঘোষকে।
তারপরও থেমে নেই ফ্যাসিস্টের এই দোসর। আসন্ন শারদীয় উৎসবকে হাতিয়ার বানিয়ে জায়গাটি গ্রাস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে দিঘলিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে কথা বললে তারা বলেন কোনো বিতর্কিত জায়গায় পূজা করা উচিত নয়। এ নিয়ে কোনো বিতর্কিত হলে আমরা এর দায় আমরা নিবো না।
এ নিয়ে সনাতনীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। জাতির কাছে একটাই প্রশ্ন ফ্যাসিস্ট সরকারের অদৃশ্য শক্তি নিয়ে। ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে জমি দখল, এটাকি ভুমিদস্যু নয়?