আবিদ আজাদ দিঘলিয়া প্রতিনিধি বাংলার চেতনা নিউজ
দিঘলিয়ায় স্টার জুট মিলের নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক জনৈক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মিল কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। ধর্ষকের পুত্র ছাত্রীর পিতা ও সাংবাদিককে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে ও নানা ধরণের হুমকি প্রদান অব্যাহত আছে। তার পিতার কেউ কিছু করতে পারলে করে যেন।
সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার স্টার জুট মিলের নিরাপত্তা প্রহরী জহিরুল ইসলাম সুমন (৩৫) জনৈক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটনায় ভিকটিমের পিতাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও হুমকি প্রদান করেছে। সে বলেছে তার পিতার বিরুদ্ধে যে যা করতে পারে করে যেন।
উল্লেখ্য জহিরুল ইসলামের পিতার নাম মোঃ শফিউদ্দিন। জহিরুল ইসলাম স্টার জুট মিলের শ্রমিক কলোনীর কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করত। ঘটনা ঘটেছে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭ টার দিকে। উক্ত ছাত্রী বাসায় ফেরার পথে তাকে মুখ চেপে ঝাপটে ধরে মিলের পরিত্যাক্ত কোয়ার্টারের দোতলার সিঁড়িতে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ভিকটিম চিৎকার দিলে সুমন তাকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। ভিকটিম সেখান থেকে বাসায় এসে জানালে ভিকটিমের পিতা মিল কর্তৃপক্ষকে জানায়। মিল কর্তৃপক্ষ জহুরুলকে ডেকে শোনার পর তাকে চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং মিলের কোয়ার্টার থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জহিরুল পু্ত্র ইশান আহমেদ ইফতি ভিকটিমের পিতা ও জনৈক সাংবাদিককে মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করছে এবং মুখ খারাপ করে তার পিতার যা করতে পারে যেন করে। সে এ কথাও বলে, ‘কেউ যদি তার পিতার কিছু করতে পারে তবে তার নিম্নাঙ্গ কেটে ফেলব।’
উল্লেখ্য উক্ত জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক মামলা, জনৈক শিক্ষকের স্ত্রীর শ্লিলতাহানী, নিজ বাসায় বহিরাগত মেয়েসহ গ্রেফতারসহ বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে উক্ত সুমনের নিকটতম জনৈক আত্নীয় সরকারী উচ্চ পদে আসিন। তার দাপটেই সে মিলের ভেতর বেপরোয়া। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা জহিরুল ইসলাম স্টার জুট মিলের একজন নিরাপত্তা প্রহরী। সে ৬ লাখ টাকার মোটরসাইকেলে চলাচল করে। তার এ অর্থের উৎস কোথায়?
এ বিষয়ে মিল কর্তৃপক্ষ মৌখিক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি লিখিত দিয়েছে এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন আডমিন অফিসার আব্দুল জলিল, সিকিউরিটি অফিসার প্রসান্ত কুমার রায়, মান নিয়ন্ত্রণ অফিসার রেজাউল করিম। দশ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন মিলের প্রকল্প প্রধান।।