এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পানিগাতী মোড়ল পাড়া নিবাসী আজম মোড়ল কর্তৃক জনৈক ষড়শী কন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিম বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। লোক জানাজানির পর ধর্ষক আজম মোড়ল (৩৭) গা ঢাকা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক আযম পানিগাতী গ্রামের শাহজাহান মোড়লের পুত্র। গত বছর নভেম্বর মাসের দিকে দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের পানিগাতী গ্রামের জনৈক ষড়শী কন্যা (১৭) কে কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে খুলনা বড় বাজারে নিয়ে যায়। সাথে তার এক বান্ধবী ছিল। সেখান থেকে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
এ সময় ভিকটিমকে নিয়ে আজম ইজিবাইকে নিয়ে একটা তালাবদ্ধ পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে ধারালো ছুরি ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়। আযম এখানে মেয়েটার উলঙ্গ ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ডিং করে। এর পর থেকে সে সময়ে অসময়ে ভিডিও দ্বারা ব্লাক মেইল করে একাধিক জায়গায় নিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম ভিডিও প্রচারের ভয়ে সকল ঘটনা গোপন করেছে। ইতোমধ্যে সে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ভিকটিমের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়া এবং মেয়ের স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মেয়েকে সন্তান ডেলিভারী করাতে অস্বীকৃতি জানালে স্বজনেরা ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ইতোমধ্যে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে ধর্ষক আত্নগোপনে চলে যায়। আযম লোক মারফত ভিকটিমকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার অফার করেছে এবং অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান নষ্ট করে দিতে চাপ দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনা জানাজানির আগে ধর্ষক আযম এক মাস আগে উপজেলা পরিষদের খাদ্য বিভাগে চাকুরীরত জনৈক মেয়েকে বিবাহ করেছে বলে জানা গেছে । ভিকটিমের জনৈক কন্যাকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে ধর্ষক পালিয়েছে।
এদিকে ধর্ষিতার গরীব পিতা খুলনা পারিবারিক আইন সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।।