শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।
ডুমুরিয়ায় চুকনগর গরুর হাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুকনগর গরুরহাট ও ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আটলিয়া ইউনিয়নে চুকনগর গরুর হাটের আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তারই জেরে ঘটনারদিন আকষ্মিকভাবে গরুর হাটের ইজারা তুলতে যায় সরদার দৌলত হোসেন ও তার অনুসারীরা। এদিন প্রায় অর্ধশত লোকজন নিয়ে গরুর হাটের পাস ঘরের বেড়া ও কিছু আসবাসপত্র ভাংচুর চালিয়েছে তারা। যদিও বিষয়টি তিনি (দৌলত) অস্বীকার করেছেন। সরদার দৌলত হোসেন জানান, হাটের ইজারার সব টাকা মসজিদ উন্নয়নের দেয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান সেটা দিচ্ছে না। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন জানান, ‘আজকে (শুক্রবার) সকালে ওরা ৮/১০জন গরুর হাটে যেয়ে পাসবই নিয়ে নিজেরাই লেখা শুরু করে। পরবর্তিতে তাদের কাছে জানতে চাইলে ওরা আমাদের লোকের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ঢুকেও হামলা করে। তিন দফায় হামলায় ঘটনায় আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিনের অনুসারি গোবিন্দকাটি গ্রামের সেলিম তরফদার, চাকুন্দিয়ার তামিম শেখ, রানা শেখ,চুকনগর সদরের দেবব্রত রায় ও মঠবাড়িয়ার রাব্বি মোড়ল এবং অপর পক্ষের গ্রুপ লিডার বিএনপি নেতা সরদার দৌলত হোসেনসহ আবু হাসান, আমিনুর সরদার, রোস্তম শেখ,
আবু তালেব ও শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সরদার দৌলত হোসেন জানান, হাট বিক্রির যাবতীয় টাকা মসজিদ উন্নয়নের জন্য দাবী করা হয়েছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান সেটা মানতে রাজি নয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা জানান, গরুর হাট নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা পুলিশসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। হাট শেষ হলে পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।