1. admin@banglarchetona.com : admin :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বারাকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। খুলনা পাইকগাছা বিএনপি নেতা মোস্তফাকে দল থেকে বহিষ্কার।। খুলনা শিপইয়ার্ডে পলিথিনে মোড়ানো হাত-পা বাঁধা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার। ডুমুরিয়ায় মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের ফসল প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস। ফুলবাড়ীতে উপকারভোগীদের মাঝে (ভি ডব্লিউ বি) এর চাল বিতরণ। ফুলবাড়িতে বাংলাদেশ কেমিস্টস্ ড্রাগিস্টস সমিতির৪ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত । দিঘলিয়ায় ধর্ষন মামলার আসামী আটক। দিঘলিয়ায় কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( টিটিসি) দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার। কাবিং করব, শান্তির বার্তা আনব” ডুমুরিয়া উপজেলা কাব ক্যাম্পুরী-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ৫ লাখ জাল টাকাসহ খুলনার লবণচরা থানা এলাকা হতে ১জন আটক 

ডুমুরিয়ায় বিলুপ্তির পথে রয়না মাছ।

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৩ বার পঠিত

 

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা

 

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের খালবিলে দেশীয় মাছ রয়না বিলুপ্তির পথে। এমন একটা সময় আসবে যখন ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এটা কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে, বাস্তবে মিলবে না। গোলাভরা ধান আর পুকুরভরা মাছ- এসব এখন অতীত। বিভিন্ন ডায়িং, কলকারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত কেমিক্যাল নদী, খাল, বিল ও পুকুরের পানিতে এসে মিশে দেশীয় প্রজাতির শিং, কৈ, টেংরা, পুঁটি, মলা, মাগুর মাছসহ ইত্যাদি প্রজাতিকে বিলুপ্তির পথে নিয়ে গেছে।

পুকুরে এখন রুই, কাতল, মৃগেল, পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি, মাগুর, শিং, কৈ, পাবদা ইত্যাদি মাছ চাষ করা হয়। এতে করে দেশের মানুষের মাছের চাহিদা হয়তোবা পূরণ হচ্ছে কিন্তু দেশীয় মাছের যে স্বাদ বা পুষ্টি, তা আমরা পাচ্ছি না। আগে দেশীয় একটি কৈ বা শিং মাছ খেয়ে যে তৃপ্তি পাওয়া যেত, তা এখন চাষ করা মাছে পাওয়া যায় না। বাণিজ্যিক আকারে মাছ চাষের কারণে বিভিন্ন খাবার বা ওষুধ মাছে প্রয়োগ করা হয়। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের স্বাদ থাকে না।

এ ব্যাপারে খুলনার ডুমুরিয়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান বলেন, আমরা বিভিন্ন যুগোপযোগী পদ্ধতির মাধ্যমে দেশীয় মিঠা পানির মাছের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দেশীয় মাছ আমাদের দেশের সম্পদ, তা রক্ষা করতে যাবতীয় ব্যবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে নেয়া হবে, সেই সঙ্গে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মধ্যে ১৪৩টি ছোট মাছ। এর মধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। ফলে এক দশক আগেও বাজারে ছোট মাছের প্রাপ্যতায় ছিল নানা সংকট। ছোট মাছ পাওয়া গেলেও দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

বিশেষ করে দেশীয় কৈ, শিং, মাগুর, পাবদা কেনার সামর্থ্য ছিল না অনেকের। আবহমান গ্রামবাংলার নদ-নদী, হাওর-বাঁওড় ও খালবিল শুকিয়ে যাওয়াসহ জলবায়ুর প্রভাবে দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু, বাহারি এসব মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park