1. admin@banglarchetona.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনায় মরহুম মাও: আতাউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ইউএনও বিরুদ্ধে চাচা’কে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির নেওয়ার অভিযোগ দিঘলিয়া উপজেলা জাকের পার্টির আয়োজনে জনসভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত টেকসই মান উন্নয়নে বিশ্ব বিনির্মাণে গণসচেতনতা ও ভেজালমুক্ত পণ্য উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির ভূমিকা অপরিহার্য । ৫৬ তম বিশ্বমান দিবস উপলক্ষে ‍আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিয়াজ উদ্দিন। দিঘলিয়ায় ফ্যাসীস্ট সরকারের আমলাদের খবরদারী বিতর্কিত জায়গায় মন্দির নির্মাণ তেরখাদায় উপজেলা আর্ন্তজাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন খুলনার কয়রায় মারপিট, লুটপাট ও ঘের দখল থানায় অভিযোগ খুলনা ডিসি ফুড তানভীর হোসেনের মানবিক উদ্যোগ গ্রহনে সর্ব মহলে প্রশংসিত দিঘলিয়ায় শিশু জিসান হত্যার মুল আসামির ফয়সালের বাড়িতে বহিরাগতদের অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

জলাবদ্ধতায় ডুবছে ডুমুরিয়া ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ, কৃষকের কান্না শুনছে না কেউ

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৯৮ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।

ডুমুরিয়া (খুলনা)প্রথম সেখলে মনে হবে, এ যেন এক বিশাল মহাসাগর। চারিদিকে থৈ থৈ পানি, মাঠের পর মাঠ জলমগ্ন। ফসলী জমি এখন পানির নিচে। হাজার হাজার চিংড়ি মাছের ঘের ও শত শত হেক্টর জমির ধান ক্ষেত ডুবে আছে বৃষ্টির পানিতে। অথচ, পানি বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। দিনকে দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে, বেড়েছে কৃষকের আহাজারি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের ডোমরার বিল, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখন পানির নিচে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বিএডসির খননকৃত খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও অপরিচর্য থাকায় খাদগুলোর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার অন্তত ত্রিশটি গ্রামের ফসলি মাঠে সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৪টি ইউনিয়নের ধামালিয়া, রঘুনাথপুর, রুদাঘরা, খর্নিয়া, আটলিয়া, মাগুরা ঘোনা,সাহস, শরাফপুর, ভান্ডার পাড়া, ডুমুরিয়া সদর, গুটূদিয়া রং পুর, ও আশপাশের গ্রামের মাঠে এখন পানির নিচে।খর্নিয়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরে আমরা ঠিকভাবে ধান ফলাতে পারছি না। খর্নিয়ার ডোমরার বিলে,খাল খনন ও কচুরিপানা কারনে বৃষ্টির পানি জমে মাঠ কি মাঠ ছয়লাব হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘বিএডিসি দপ্তরে বহুবার গেছি। কর্মকর্তারা এসে দেখে গেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”পাচপোতা গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন জানান, ‘১০ গ্রামের পানি একসঙ্গে ডোমরার খালে এসে জমে। তারপর তা খর্নিয়ার গেট দিয়ে নদীতে চলে যায়। কিন্তু খর্নিয়ার সুইস গেটের খাল এখন ভরাট ও কচুরিপনায় আটকে গেছে। ফলে পানি জমে থেকে যাচ্ছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব হালিম জানান, বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি দ্রুত খালগুলো খনন করে কৃষকদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
বিএডিসির (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাঠজুড়ে পানিই পানি। খাল ভরাট হওয়ায় পানি বের হচ্ছে না। আমি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।”
কৃষকের চোখে এখন শুধুই অন্ধকার। খাল খননের কাজ শুরু না হলে আগামীর দিনগুলো আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে কৃষক সমাজ।।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park