সাব্বির হোসেন রিপোর্টার বাংলার চেতনা নিউজ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসন নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “খুলনা ৪ আমাদের পক্ষে হবে ইনশাআল্লাহ। “শরীফ শাহ কামাল তাজ তার পোস্টে ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থা
পরিস্থিতিতে বিএনপির কঠিন সময়ে দলের প্রতি তাঁর আত্মত্যাগ ও ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “সেই সময়ে দলের শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফোনও যখন অনেক সুবিধাভোগী নেতা রিসিভ করেননি, তখন আমি ব্যবসা ছেড়ে খুলনার দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম। “২০০৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হলেও নেতাকর্মীদের পাশে থেকে রাজনীতিকে ধরে রেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সভা করে দলের ভিত্তি মজবুত করার কথা উল্লেখ করেছেন তাজ।
২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সহায়তা করেছেন বলে দাবি করেন। তাঁর ভাষায়, “আমি শুধু রাজনৈতিক সহায়তা নয়, সকল মামলা-মোকদ্দমায়ও পাশে থেকেছি। বিশ্ব মিডিয়াতে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরার কাজ করেছি বিবিসি, আল-জাজিরা, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে। “তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের রোষানলে পড়ে তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আমার কোম্পানি মার্কেট অ্যাকসেস প্রোভাইডার্স লিমিটেড, আইআর অ্যাকটিভেশন অ্যান্ড প্রমোশন লিমিটেড, ক্যারট কমিউনিকেশনস, পিপল স্কেপ, মার্কেট এক্সপ্রেস, সুগার প্রোডাকশন লিমিটেডসহ সব ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হয়েছে,” বলেন তাজ। ২০১৮ সালে প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পেলেও পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। ২০২২ সালে সরকারের দমন-পীড়নের মুখে তাকে দেশ ত্যাগ করতে হয় বলেও দাবি করেন তিনি। ২০২৩ সালেও তার অনুপস্থিতিতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
প্রিয় খুলনাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “শরীরে যতদিন রক্ত থাকবে, ততদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম এর প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দলের সাথেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।
খুলনা-৪ আসন নিয়ে তার এই আশাবাদ ও দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগ ভবিষ্যতের নির্বাচনে কোন দিকে মোড় নেবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।।