1. admin@banglarchetona.com : admin :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খুলনা সাতক্ষীরা মহা সড়কে চলছে সংস্কারের নামে নয়-ছয়। দিঘলিয়ার ৫ নং ওয়ার্ডে মুদি দোকান রানা মোড়ল স্টোর ফিরে পেয়েছে তার স্বপ্ন। মোংলা বন্দরের অফিস ৩৯ বছর পরে খুলনায় চালু হয়েছে। ফুলবাড়িতে যানজট নিরসনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদ। ঈদ উল আযহা উপলক্ষে খুলনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে র‌্যাব-৬। ডুমুরিয়া উপজেলার শৈলমারী নদীর স্লুইস গেইটে পানি নিষ্কাশনে পরিদর্শন করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।। নড়াইল-১ আসনসহ সমগ্র নড়াইলবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানালেন অধ্যাপক বি.এম. নাগিব হোসেন যশোরের শার্শা গোগা সিমান্তে ২৯১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার।। দেশে অশান্তির কারন নির্বাচনে বিলম্ব দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। দিঘলিয়া উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে।

খুলনা সাতক্ষীরা মহা সড়কে চলছে সংস্কারের নামে নয়-ছয়।

বাংলার চেতনা ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫
  • ১০ বার পঠিত

মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা থেকে।

ব্যয় সাশ্রয়ী এবং অল্প সময় বেশি কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে কার্পেটিংয়ের বদলে ইটের সোলিং দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কয়েক গুন বেড়ে গেছে। জানা যায়,১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে নির্মিত খুলনা-সাতক্ষীলা মহাসড়কটি এখন বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। জিরোপয়েন্ট থেকে সুভাসিনী বাজার পর্যন্ত

৩৩ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ওই সময় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করে। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ না হতেই সড়কটি নষ্ট হতে থাকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও কয়েকগুন বেড়ে গেছে। সড়ক নির্মাণের দুই বছরের মাথায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কারের নামে কার্পেটিংয়ের বদলে ইটের সলিং দিয়ে তামাশা করে সওজ বিভাগ। এবারো তাই শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে খানাখন্দের জায়গায় কার্পেটিংয়ের বদলে ইটের সলিং দেয়া শুরু হয়েছে। চুকনগর বটতলা নামকস্থানে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার পর্যন্ত টানা সলিং দেয়া হচ্ছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় কার্পেটিংও

দেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে ২ কোটি টাকা বরাদ্দে এই সংস্কার কাজ চলছে। জোড়াতালি সংস্কারের ফলে সড়কে দুর্ঘটনা কয়েক গুন বেড়ে গেছে। ওইসব জায়গায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
অন্যদিকে খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে চুকনগর অভিমুখি এবং চুকনগর বাজার থেকে ডুমুরিয়া অভিমুখি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশে (৬ কিলোমিটার) ঢালাইয়ের রাস্তা

নির্মাণ কাজের ওয়ার্ক-অর্ডার হয়ে গেছে। ঈদের পর কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। রাস্তার বিষয়ে ইবাদুল নামে এক ট্রাক চালক জানান, শুভাসিনী থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত অনেক জায়গায় রাস্তাটির বেশ খারাপ অবস্থা। অসংখ্য খানাখন্দে ভরে গেছে। এখন দেখছি সেখানে সংস্কারের নামে তামাশা শুরু করেছে। কার্পেটিংয়ের বদলে ইটের সলিং দিচ্ছে। ভারি যানবাহনের চাপে বর্ষার আগেই ইট গুড়ো হয়ে কাদায় পরিণত হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানিমুল হক জানান, খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে অতিরিক্ত ভারিযানবাহন চলাচলের কারণে দ্রুত সড়ক নষ্ট হচ্ছে। রাস্তাটি পুনঃনির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ না হয়ে আশা পর্যন্ত এভাবেই সংস্কারের মাধ্যমে চলাতে হবে। বর্ষার সময় কার্পেটিংয়ের কাজ করা যায় না। তাছাড়া ব্যয় সাশ্রয়ী ও অল্প সময় বেশি রাস্তা নির্মাণে জন্য ইটের সলিং দেয়া হচ্ছে। যেখানে বেশি

খানা সেখানে ইটের সলিং দেয়া হচ্ছে। অল্প ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় কার্পেটিং দেয়া হবে। তিনি বলেছেন, ঈদের পর জিরোপয়েন্ট ও চুকনগরের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশে চালাইয়ের রাস্তা করা হবে। তবে সড়কটি ফোরলেনে উন্নয়ন বিষয়ে তিনি বলেছেন আগামী ১০ বছরেও সম্ভবনা নেই।।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ বাংলার চেতনা
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park