খুলনা জেলা প্রতিনিধি,।
খুলনা রূপসা উপজেলা আ’লীগের সকল সুবিধা গ্রহণ করে এখন বিএনপির বড় নেতা দাবি করে ইউনিয়ন চসে বেড়াচ্ছেন জনৈক হাসিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে রূপসার ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্ণধর মনে করেন। একটি প্যনায় দেখা যায় সাবেক এমপি সালাম মুর্শেদী নিচে একটা ছবি রয়েছে।ছবিটির ব্যক্তি হলেন স ম হাসিবুর রহমান। অথচ দলের দুর্দিনে তাকে কোথাও দেখতে পায়নি বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান। আ’লীগের সময় প্রকৃত বিএনপি’র নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে বের হতে সাহস পায় নাই । সেখানে বীর দর্পে ঘুরে বেড়িয়েছেন সকলের সামনে দিয়ে এই হাসিব। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে সুসম্পর্ক থাকার
কারণে তিনি পেয়েছিলেন আলাইপুর এলাকায় কোরবানির গরুর হাটের ইজারাদা। এছাড়া আ’লীগের সাথে মিশে থেকে তিনি ভিজিডি, বিজিএফ, রেশন কার্ডসহ অসংখ্য কার্ড নিতেন। গরুর হাটের ইজারাদার পেয়ে হাসিব আনন্দে আত্মহারা হয়ে আ’লীগকে খুশি করতে নেতাকর্মীদের সাথে দিয়ে ছিলেন ছবি যুক্ত প্যানা। এছাড়া খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে বর্তমানে ইউনিয়নে পান,থেকে চুল খসলেই হাসিবকে জানাতে হচ্ছে । বিষয়টি দলীয় নেতা কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দলের দুর্দিনে এই হাসিবকে কোন মিছিল মিটিংয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই সুবিধাবাদী লোককে জেলা বিএনপির দুই একজন নেতা টেনে তোলার চেষ্টা করছেন। তবে দলের দুর্দিনের মামলা হামলা খাওয়া নেতারা জানান, এ সকল ব্যক্তিকে যদি দলের প্রাধান্য দেওয়া হয়।তাহলে যারা দলের দুর্দিনে ছিল তারা দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে আর সুবিধাবাদীরা দলে ভীড়ে পূর্বের মতো তাদের সুবিধা নিতে থাকবে । এতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন ভেঙ্গে পড়বে। তাই এই সমস্ত সুবিধাবাদী হাইব্রিডদের ধরে জায়গা না দেওয়ার জন্য দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আহবান জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাবেদ হোসেন মল্লিক জানান,দলের যারা দুর্দিনে হামলা মামলার শিকার হয়েছে । তাদেরকে আমরা প্রাধান্য দিব আর যারা হাইব্রিড তাদেরকে আমরা কখনই দলের সেই ভালো অবস্থানে রাখবো না । যা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর নির্দেশ।এ ব্যাপারে রুপসা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোল্লা সাইফুর রহমান এর ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করলে ফোন রিছিপ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।।