৷৷৷৷৷ খুলনা ব্যুরো প্রধান বাংলার চেতনা নিউজ৷৷৷৷৷
দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম এর একাধিক অভিযোগ উঠেছে। খবর নিয়ে জানা যায় উক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের প্রধান দায়িত্ব রয়েছেন ডাক্তার হুমায়ুন কবির তিনি দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ একই স্থানে আছেন।
এলাকাবাসি সুএে জানা যায় ঐ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাউন্ডারির চতুর্পাশে থাকা প্রায় ৪ হাজার ইট দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত ক্লিনিকের ভিতরে মজুদ করা ছিল। কিন্তু চলতি আগস্ট মাসে সেই ইট গুলো কোন রেজুলেশন ছাড়াই বিক্রি করে দেয় উক্ত ডা: হুমায়ুন কবির। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল ফটকের গেট পুনর নির্মাণ করায় একটি নতুন গেট লাগানো হয়েছে। এবং পুরাতন যে গেট টি ছিল সেই লোহার গেট টি অন্যত্র বিক্রি করে কোন রেজুলেশন ছাড়া, চলতি বছরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে টয়লেট এবং বারান্দা সহ টাইলস লাগানো হয়। এবিষয়ে ডা: হুমায়ুন কবির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন এখানে কি কাজ হচ্ছে আমি জানি না।
কথা হয় এলাকাবাসির সাথে তারা অনেকেই ক্যামেরার সামনে আসতে না চাইলেও জানান ডা : হুমায়ুন কবির অফিসে আসেন তার ইচ্ছে মতো, এবং যায় ও তার ইচ্ছে মতো। অনেক রোগীদের অভিযোগ রয়েছে যে ডা: হুমায়ুন কবির এর একটি নিজস্ব ক্লিনিক রয়েছে আগে তার ক্লিনিক এর রোগীদের দেখে তার পরে বারাকপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেলা সাড়ে ১১ টা বাজলেও ডা: হুমায়ুন কবির এর চেয়ার ফাঁকা।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডা: হুমায়ুন কবির এর সাথে কিছু গণমাধ্যম কর্মী কথা বলতে জায় এবং লোহার পুরাতন গেইট এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন স্টোর রুমে রয়েছে , স্টোর রুম দেখতে চাইলে প্রথমে বলেন চাবি তার বাড়িতে রেখে এসেছে ৩০ মিনিট কথা শেষে আবারও স্টোর রুম দেখতে চাইলে ডা: হুমায়ুন কবির বলেন উপজেলার অফিসার গন ছাড়া রুম খোলা জাবে না। এবার জানতে চাওয়া হলো ৪ হাজার ইটের কথা।
তিনি বলেন কোন ইট ছিল না। এবার তথ্যের খোঁজে গণমাধ্যম কর্মীরা ছুটে চলে উক্ত এলাকাবাসীর কাছে কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান হ্যা ইট তো অনেক ছিলো , এই মাসের মধ্যে সেই ইট কি হলো আমরা জানি না। এলাকাবাসী জানান ডা: হুমায়ুন কবির তার চাকুরী কে নিজের বাড়ি মনে করে এমনকি উক্ত ক্লিনিকে আসা ঔষধ ও আমাদের দেয় না।।