খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
কয়রায় মহারাজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মঠবাড়িয়া,গ্রাম পবনা নামক একটি স্থানে মাছের ঘের দখল মারপিট ভাঙচুর ও লুট পাটের অভিযোগ উঠেছে খুলনা জেলা বিএনপি সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক
ও কয়রা ও পাইকগাছা ৬ আসনের এমপি পদপ্রার্থী আগ্রহী মমরেজুল ইসলাম ও খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান (রুনু) এর নেতৃত্বে কয়রা সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুম ও কয়রা থানার মহারাজপুর ইউনিয়নের জেলা বিএনপির সদস্য আবু সাঈদ বিশ্বাস ও মোস্তাফিজুর রহমান সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। কিছুদিন যাবত নানান বিষয় নানান ভাবে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় ঘের মালিক মুস্তাফিজুর রহমান ও তার পিতা নুরুল ইসলামকে মারপিট সহ ঘেরের বাসা ভাঙচুর করেন। ঘের দখল করে নেয় এবং তাদের বলা হয় তারা যেন আর ওই ঘেরে না যায় গেলে তাদেরকে মেরে ফেলে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। অভিযোগ তুলেছেন কয়রার ৪ নং কয়রার মোস্তাফিজুর রহমান হেলাল ও তার পিতা নুরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে গেলে নাম প্রকাশে অনিশ্চিত একজন লোক বলেন হ্যাঁ ঘটনা সত্য আমাদের সামনে ঘেরের বাসা ভাঙচুর মারপিট করেন মাসুম ও সাঈদ বিশ্বাসের দলবল।
নাম প্রকাশে অনিশ্চিত কয়েকজন বলেন আমি মারপিট ও ভাঙচুর লুটপাটের সময় ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম আমার সামনে মোস্তাফিজ রহমান হেলাল ভাইকে মারছেন। তারা বলেন আমাদের নাম বলবেন না বললে মাসুম বিল্লাহ সাঈদ বিশ্বাসের ও মুস্তাফিজ। নাম বলে আমাদের উপর অত্যাচার করতে পারে।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপি’র শাখার সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক ও মমরেজুল ইসলামের কাছে কয়েকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি।
এবং খুলনা জেলা স্স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান (রুনু) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছেন অভিযোগটি সত্য কিনা যাচাই করার জন্য তাকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে ঘটনাটি জানতে চাইলেন সাংবাদিক শুনেই ফোন কেটে দেন।
অনুসন্ধানে উঠে আসে মহারাজপুর তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি গাজী ইউনুস বলেন প্রোগ্রাম আসলে আমাদের ১০০০০ করে চাঁদা দিতে হয় জমি যার হয় হোক বা যে হারি যে নিক এটা কোন বিষয়ই না ঘের আমাদের করতে দিতে হবে এটা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মমরেজুল ইসলামের নির্দেশ ঘটনা সত্যতা জানতে কয়রা থানা ওসি সাহেবের জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি অবগত হয়নি তবে আমরা পরে জানতে পারি একটি জিডি হয়েছে চার জনের নাম উল্লেখ করে বিষয়টা পুলিশ তদন্তাধীন রয়েছে। ভিকটিমের অভিযোগ মুস্তাফিজুর রহমান হেলাল বলেন ইতিমধ্যে আমার এই ঘরের বাসাটি চারবার ভাঙচুর করা হয়েছে যখন থেকে জিলা বিএনপি’র এই নতুন উদ্ভাবন কমিটি হয় যারা ১৭ বছর রাজপথে ছিল না তাদেরকে হঠাৎ করে কমিটি দিলে আমাদের মতো ত্যাগী কর্মীরা খুব দমন পীড়ন ও বিপদগ্রস্ত হয়েছে জানা যায় যে তিনি খুলনা যুবদলের সাবেক একজন সদস্য ছিলেন তিনি বলেন বিএনপি হয়ে বিএনপির পরিবারের হস্তক্ষেপ করছে বিষয়টি গ্রুপিংয়ের কারণে হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।।