এস.এম.শামীম, দিঘলিয়া খুলনা বাংলার চেতনা নিউজ।
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় মানব পাচারের সাথে জড়িত একটি চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
১৬ ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় ফেরিঘাট স্থ নিজস্ব বাসভবনে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শাহরিয়ার আহমেদ নামের এক ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা। তার ছোট ভাই সাকিল আহমেদ ( লিমন ) কে একটি বিদেশি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি দিবেন বেতন ২৫ শত ইউরো এই মর্মে বাগেরহাট চিতলমারী জেলার হিজলা থানা এলাকার বাসিন্দা সাইপ্রাসে অবস্থানরত কাজী ফাইজুল ওরফে( ফয়সাল ) কে ১৭ লাখ ৮ শত টাকা দেন। লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার আহমেদ আরো জানান তাদের বসতবাড়ি বিক্রি করে এবং এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে উক্ত টাকা দেওয়া হয় । এবং ১৬ ই মার্চ ২৫ ইং তারিখে আমার ছোট ভাই শাকিল আহমেদ লিমন বিমানে সাইপ্রাসে গিয়ে উক্ত দালাল ফয়সালের বাসায় উঠে । কিন্তু প্রতারক চক্র ফয়সাল ও তার স্ত্রী চাকুরীতে নিয়োগ না দিয়ে আবারো আমাদের কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে, এবং শাকিল আহমেদকে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার প্রস্তাব দেন, এবং আরো ৪ লাখ টাকা না দিলে ভিসা বাতিল করে পুলিশে ধরিয়ে দেশে ফিরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় এই ঘটনায় আমরা বাড়ি থেকে টাকা না দেওয়ায় শাকিল এর উপর ফয়সাল ও তার স্ত্রী স্বর্ণা জামান মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে তিন মাস শাকিল আহমেদ কে কাজ না দিয়ে জোর করে বাসায় আটকায় রাখে দিনের পর দিন না খাইয়ে রাখে। তিন মাস পর শাকিল আহমেদ জানতে পারে সরকারি নেভি জমা না দিলে তার ভিসা বাতিল হবে,
এক পর্যায়ে কৌশলে বাসা থেকে বেরিয়ে পালিয়ে আইনের সহযোগীতার জন্য লেবার কোর্ট ও এজেন্সি অফিসে আবেদন করে, তদন্ত করে জানতে পারে যে কোম্পানির নামে চাকরি দেওয়া হয়েছে সেটা একটি ভুয়া কোম্পানি। এবং উক্ত প্রতারক চক্র এভাবে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে তারা অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। উক্ত প্রতারক ফয়সাল তার স্ত্রী স্বর্ণা জামান কে দেশে পাঠিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে, এবং প্রতারক ফয়সাল আবার বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে পালানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে সাইপ্রাসে শাকিল আহমেদের মানবেতর জীবন যাপন করছে শাকিল আহমেদের ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছে সে বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দিঘলিয়ার পানিগাতী ৯ নং ওয়ার্ড হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা, বিল্লাল মোড়ল এর কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা, সাব্বির হোসেনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা, এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। উক্ত লিখিত বক্তব্যে শাহরিয়ার আহমেদ আরো জানান এ ঘটনায় তিনি ২৫/৬/২৫ ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন মামলা নং সিআর ১১৫//২৫ উক্ত মামলা তদন্তের ভার সি আইডি এর উপর বিজ্ঞ আদালত দায়িত্ব দেন, মামলা তদন্তে বিলম্বিত হলে আসামী দেশের বাহিরে চলে যেতে পারে যে কারণে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভুক্তভোগীরা।
এবং সংবাদ সম্মেলন থেকে উক্ত প্রতারক চক্র কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শাহরিয়ার আহমেদ।।