পিরোজপুর মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি বাংলার চেতনা নিউজ।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের আসামি করে হয়রানি করে আসছে প্রশাসন সহ একটি চাঁদাবাজ চক্র। এতে সকল মহলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।সম্প্রতি উপজেলার ধানীসাফা ইউনিয়নের করিম আকন বাজারে বিএনপির অফিস ভাংচুর এর ঘটনায় মিজানুর রহমান নামে এক বিএনপির কর্মী বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৪২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা আরও কিছু আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় পূর্ব শুত্রুতার রেশ মেটাতে দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এজাজ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ও ফারুক হোসেনকেও আসামি করা হয়। সাংবাদিক কে মামলায় আসামি করায় বিএনপির একটি মহল দুঃখ প্রকাশ করেন। এখানেই ক্ষ্যান্ত না থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ মঠবাড়িয়া থানায় পুনরায় একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়, এ মামলায় বাদী হয় উপজেলার ১০ নং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ, এখানে উল্লেখ করা হয় ১১/০২/২০২৩ ইং সালে বিএনপির একটি মিছিলে বিস্ফোরক ঘটানো হয়েছে। এ মামলায় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বুলেট ও দৈনিক বর্তমান কথা, দৈনিক আজকের সময়ের বার্তার স্টাফ রিপোর্টার ও মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন এ দুইজন সাংবাদিক সহ ১০২ জন এজাহার নামীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আরও অজ্ঞাত ২০০ জন কে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়।কিন্তু এ মামলায় ১ নং স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা ও ২ নং স্বাাক্ষী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল, ৩ নং স্বাক্ষী মৎস্যজীবীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মধু সহ মোট ২৮ জন, ইতিপূর্বে আরো দুটি মামলায় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ও ফারুক হোসেনকে ও আসামি করা হয়। সাংবাদিকদের জড়িয়ে পুনরায় মামলা করায় রাজনৈতিক মহলে একটি চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল তার ফেইসবুক স্টাটাসে ও মামলার প্রতি অনিহা প্রকাশ করে মতামত ব্যক্ত করেছেন, এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক এ আর মামুন খান তার ফেইসবুক পেইজে মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি কে সরাসরি দায়ী করেছেন। তিনি মতামত ব্যক্ত করে বলেন একটি মহলের ইন্ধনে এ ধরনের মিথ্যা মামলা ও নির্দোষী মানুষ কে মামলায় জড়িয়ে বিএনপির মান সন্মান নষ্ট করেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা বলেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাংবাদিক সহ নিরহ মানুষ কে আসামি করে হয়রানি করে আসছে এবং একটি চাঁদাবাজ চক্র ওসির সাথে লিয়াজো করে এর সুবিধা ভোগ করছে।
তিনি আওয়ামী লীগের কোনো বড় নেতাদের গ্রেফতার করেন না। কালো টাকার বিনিময়ে তাদের কে সেইভ করে রাখে আর নিরহ জনগণ কে জেল হাজতে পাঠায়। সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে সাংবাদিকদের মামলা দেওয়ার বিষয় স্বাক্ষী হিসাবে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব এর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান আমরা জানিনা যে এ মামলায় আমরা স্বাক্ষী হয়েছি এবং সাথে সাথে তারা বাদী কে ফোন দিয়ে মামলা তুলে নিতে বলেন।
তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের নামে মামলা রুজু করার বিষয় মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আসামি না করা হলে আমার উপর হুমকি সহ বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে মামলাটি নিয়েছি।।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.