মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রাজনৈতিক মামলার হিরিকে রেহাই না পেয়ে বাড়ি ছেড়েছেন ছয় সাংবাদিক।ছয়জন সাংবাদিককে পর্যায়ক্রমে আলাদা রাজনৈতিক মামলায় আসামি করে হয়রানি করে আসছে একটি চক্র।বাদ যায়নি সাংবাদিক পূত্র হাসান ইমামও।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সকল মহলে নিন্দার ঝড় বইছে।
গতকাল বৃহষ্পতিবার ১৮/৯/২৫ ইং তারিখ উপজেলার গুলিশাখালীর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হারুন অর রশিদ আ'লীগের ১০২ জনকে এজাহার নামীয় আসামি ও দুইশত অজ্ঞাত রেখে মঠবাড়িয়া থানায় একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৫ তাং ১৮/৮/২৫ ইং।মামলায় দৈনিক যায় যায় দিন এর মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল বুলেট ও দৈনিক বর্তমান কথার স্টাফ রিপোর্টার নাসির উদ্দিনকে আসামী করা হয়েছে।রাজনৈতিক কারনে সাংবাদিকদের মামলায় ফাঁসানো নিয়ে নিন্দা প্রতিবাদের হাওয়া বইছে।
মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধা,বিএনপির সদস্য সচিব আবু বকর সিদ্দিক বাদল,মৎস্যজীবি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম মধু সহ ২৮ জন।
এছাড়াও মঠবাড়িয়া থানার মামলা নং ২৬ তাং ২৫/৮/২৫ ইং দৈনিক আমাদের কন্ঠ প্রতিনিধি এজাজ উদ্দিন চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার মামলা নং ২৬ তাং ২৫/৮/২৫ ইং সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ও ফারুক হোসেন কে আসামি করা হয়েছে।আরো মামলা রয়েছে তাদের নামে।
মঠবাড়িয়া থানার মামলা নং ৩১/২৫ তাং ২৩/২/২৫ মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহিদ উদ্দিন পলাশকে আসামি করা হয়েছে।গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন সাংবাদিক ও পরিবারের সদস্যরা।তাছাড়াও একাধিক মামলায় অজ্ঞাতনামা গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছাড়া হয়েছেন অনেকে।
সাংবাদিকদের জড়িয়ে মামলা করায় রাজনৈতিক মহলে চরম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল তার ফেইসবুক স্টাটাসে মামলার প্রতি অনিহা প্রকাশ করে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক এ আর মামুন খান তার ফেইসবুক পেইজে মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসিকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তিনি লিখেন একটি মহলের ইন্ধনে এ ধরনের মিথ্যা মামলা ও নির্দোষ মানুষ কে মামলায় জড়িয়ে বিএনপির মান সন্মান নষ্ট করেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শামীম মিয়া মৃধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তার নামে ফেসবুক আইডি দেখে পড়ে নিতে বলেন।
পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে বলেন,মামলার বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।যে মামলা করেছেন ও নিয়েছেন তারাই জানেন।জামাতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি মহল মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির মান সম্মান খুন্ন করছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ২০২৩ সালের ঘটনার সত্যতা আছে সে কারণে কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নিতে হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.