রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
আজ ৬ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার, সারাদেশে ক্লাব , স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে, বাড়ির পুজোতে মেতে ছিলেন সরস্বতী বন্দনায়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কলেজের ছেলেমেয়েরা এমনকি বাড়ির অভিভাবকেরা কয়েকদিন সরস্বতী পুজোর আনন্দে মাতলেন। বাড়িতে বাড়িতে চলেছে পূজা অর্চনা, খাওয়া-দাওয়া। সকাল থেকেই স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা নতুন জামা কাপড় পড়ে বন্ধু বান্ধবের সাথে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন, তাহারা সরস্বতী প্রতিমার কাছে বই দেখে প্রার্থনা জানালেন। যেন বুদ্ধি দেয় বিদ্যা দেয়।
সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন ধার্য্য ছিল, সেইমতো বাড়ির প্রতিমা থেকে শুরু করে, ক্লাবের, স্কুলের ও কলেজের প্রতিমা নিয়ে সকাল থেকেই শুরু হয় বাবুঘাটে বিসর্জনের পালা।
ঘাটে ঘাটে প্রশাসনের অফিসার থেকে শুরু করে কে এম সির লোকেরা উপস্থিত ছিলেন, এবং কড়া নজর রেখেছিলেন, যাতে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, শুধু তাই নয় কেউ প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে নদীর দূরে যেতে চাইলে ,প্রশাসনের অফিসারেরা তাকে পাড়ে উঠে যেতে বলেন এবং বারণ করতে থাকেন ,শুধু তাই নয় মাঝে মাঝে মাইকিং করে জানানো হয়, কোনরকম বাচ্চা নিয়ে বিসর্জনের সময় নদীর ধারে যাবেন না। এমনকি প্রতিমা সুস্থভাবে ফেলবেন, যাতে কোনো রকম দুর্ঘটনা না ঘটে। একে একে প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন, প্রতিমা নিরঞ্জনের সাথে সাথেই শুরু হয় আবির খেলা, এবারের মতো মাকে বিদায় দিতে সকল ছাত্র ছাত্রীরা সরস্বতী মায়ের জয়ধ্বনি দিতে থাকেন আসছে বছর আবার হবে। মা আমাদের আসবে ফিরে।
কলকাতা বাবুঘাটের মতই চলেছি অন্যান্য ঘাটেও প্রতিমা নিরঞ্জনের কাজ। একে একে গাড়িতে করে প্রতিমা নিয়ে হাজির বিভিন্ন ঘাটে। অনেক বাড়ির পুজোর মহিলাদের দেখা যায় ঘাটে একে অপরকে আবির মাখিয়ে দিতে। তবে বিসর্জনের সময় কোনোরকম দুর্ঘটনা ঘটেনি ও চোখে পড়েনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক এন আই নবী। খুলনা অফিসঃ ৬/১ পাবলা কেশবলাল রোড, দৌলতপুর, খুলনা। মোবাইলঃ ০১৭১৩৭০৮১৯
Copyright © 2025 বাংলার চেতনা. All rights reserved.